নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, বিএনপিতেও ভালো মানুষ আছে, যাদের কারণে এত বছর বিএনপির সাথে আমাদের কোনো সংঘাত হয়নি। তবে তাদের লাথি দিয়ে বের করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের রাইফেলস ক্লাবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, ছবি তোলা দেখে কেউ সন্তুষ্টির ঢেঁকুর তুলবেন না। নিজেদের অধিকার নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কাবাঘর ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, নারায়ণগঞ্জকে কলঙ্কমুক্ত করবো। দুশো বছর ধরে এ কলঙ্ক সেখানে ছিল। আমি যখন নেত্রীকে বললাম, এটাকে পুনর্বাসন করতে চাই। নেত্রী বললেন করো। আমি বললাম বাঁধা আসবে। তিনি বললেন ভালো কাজ করতে হলে বাঁধা আসবেই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতার ৫২ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে আসতে পারবে না। নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে। আমার এলাকায় প্রচুর কাজ করেছি। এখানে সব হচ্ছে। চাষাঢ়া থেকে ফতুল্লা এটা একশ ষাট ফুট রাস্তা হবে।
শামীম ওসমান বলেন, জাতির পিতার কন্যা মূল্যবান কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, এখানে এমন একটা গ্রুপকে ক্ষমতায় বসাতে চায়, যারা পা চাটার দল। যারা লাফাচ্ছে এরা ক্ষমতায় আসার ধারে কাছেও নেই। ওরা ব্যবহৃত হচ্ছে। ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা এত সহজ জিনিস না। জি-২০ সম্মেলনে প্রমাণ হয়েছে শেখ হাসিনা এখন বিশ্বের নেত্রী।
তিনি বলেন, যাদের নির্বাচন করতে ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা আসলেন। ছাত্রলীগ-যুবলীগ জানপ্রাণ দিয়ে কাজ করল। সাংবাদিকরা নাকি অটোতে স্টিকার লাগিয়ে খায়। পুলিশও নাকি স্টিকার লাগিয়ে টাকা খায়। ঐক্যের সময় এসব কথা কেন? আমি বিএনপি-জামায়াত ভয় পাই না, মোশতাকদের ভয় পাই।
শামীম ওসমান বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে এক পল্টিবাজ আছে। এদের পলিটিকাল প্রস্টিটিউট বলে। এদের কোনো রাজনৈতিক আদর্শ নেই। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আমাদের সতেরো জন লোক মেরেছে। আমাদের বিএনপি নেতা তৈমুর ভাইয়ের ছোট ভাইকেও মেরে ফেলেছে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায়।
তিনি বলেন, এই বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে সাতশ স্কুল পুড়িয়েছে। পুলিশ অফিসারদের কুপিয়ে মেরেছে। সংখ্যালঘুরা তো ওদের মূল লক্ষ্য। আমাদের সংখ্যালঘুদের ওরা ধর্ষণ করেছে। ওদের গণতন্ত্র আমরা মেনে নেব? আমি বলেছি প্রধানমন্ত্রীকে, আপনি ওদের সাথে গণতন্ত্র চর্চা করুন। বঙ্গবন্ধুকে পুরো পরিবারসহ মেরে ফেলল তার মেয়ে বেঁচে গেল। একত্রিশ বা বত্রিশ বছর বয়সে তিনি দেশে ফিরে এসে বাংলাদেশের হাল ধরেন। আমরা সবাই ছিলাম সেদিন। প্রবল ঝড় ছিল সেদিন। আমরা দেখেছি মানুষের আর্তচিৎকার কাকে বলে। তিনি একবার বত্রিশ নম্বরের বাড়িতে ঢুকতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান তাকে ঢুকতে দেয়নি। দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে দেয়নি।
কর্মীসভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
এমআরপি/এমজেএফ