ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেছেন, দেশের জনগণ এই ফ্যাসিবাদের বিচার করার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দল কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত একদফা দাবিতে গণ অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা ও সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানানো হয় সেই আয়োজনে।
সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, আপনাকে সময় দেওয়ার মতো জনগণের হাতে সময় নেই। আপনি তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করুন। আজকে সারা বাংলাদেশ জেগে উঠেছে ওই সমস্ত বিচারপতিদের বিচার করবার জন্য।
তিনি বলেন, গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলা, রাজনৈতিক মামলার মাধ্যমে হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে সাজা দেওয়ার চেষ্টা করছেন সাবধান হয়ে যান। বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে যে কোনো দিন যেকোনো সময় দাবানল তৈরি হয়ে যাবে সেই দাবানলে এই সরকার পুড়ে ভস্ম হয়ে যাবে।
আজম খান বলেন, আমরা কয়েক বছর যাবত খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবি করে আসছি। কিন্তু এই ফ্যাসিবাদী সরকার জনগণের ভাষা বুঝে না। দেশের সমস্ত মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অভিমত ব্যক্ত করেছে। কিন্তু জনগণের সেই অভিমত এই সরকারের কানে পৌঁছায় না। শুধু রাজনৈতিক ভীতির জন্য খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা হয়েছে। সরকারকে বলব খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে রাজনীতি করবেন না, টালবাহানা ছেড়ে দিন। ফ্যাসিস্ট সরকারকে বলব এই অপরাজনীতি বন্ধ করুন।
তিনি বলেন, দুবছর যাবৎ খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট আটকে রাখা হয়েছে। এটাই হল ফ্যাসিবাদ। জনগণের নেত্রী থাকবেন কারাঘরে আর অপরাধীদের অভয়ারণ্য হবে দেশ, এটাই হল ফ্যাসিবাদ। যত দ্রুত সম্ভব পাসপোর্ট দিয়ে দেন আজকের মধ্যে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। এই ফ্যাসিবাদের কি হবে এটা কেউ বলতে পারে না। এখনো সময় আছে।
সরকারের লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে উল্লেখ করে আজম খান বলেন, এই সরকারের সিন্ডিকেটের কারণে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে। বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সকল মন্ত্রী সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। তাই আজকে এই ফ্যাসিবাদের পতনের ডাক এসেছে। আর এই ডাক দিয়েছেন তারেক রহমান। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। ২০১৮ সালে দেখেছি দিনের ভোট রাতেই চুরি করে নিয়েছে। এইজন্যেই দেশের মানুষের দাবি আগামী নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ হতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি জনি সরকারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, ছাত্রদল সাবেক সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট. তাঁতী দলের সহ- সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক মহসিন হাবিব, মৎস্যজীবীদের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
ইএসএস/এসএএইচ