ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে ৭ দাবি গণমুক্তি জোটের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে ৭ দাবি গণমুক্তি জোটের ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে সাত দফা দাবি জানিয়েছে গণমুক্তি জোট। বুধবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে জোটের নেতারা এসব দাবি জানান।

দাবিগুলো হলো- তফসীল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, মন্ত্রিসভা ছোট করতে হবে এবং মন্ত্রিসভায় বিরোধী দলগুলোর প্রতিনিধি যুক্ত করতে হবে, স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে আইন সংশোধন করতে হবে যাতে সরকার নির্বাচন কমিশনের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য থাকে, সব নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট প্রথা বাতিল করতে হবে, প্রবাসীদের অনলাইনে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সব নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব নির্বাচন কর্মকর্তাকে দিতে হবে।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে জোটের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ বলেন, ক্ষমতায় থাকা দুটো রাজনৈতিক দলই ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার-আইনের শাসন, সুশাসন, ন্যায়বিচার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। দুই দলের নেতাকর্মীর বাইরে একটি বৃহৎ মধ্যবিত্ত, কৃষক-শ্রমিক ও শান্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠী রয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা যায়নি। তারা নতুন করে নির্বাচন চায়। তারা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে চায়। গণমুক্তি জোট সাইলেন্ট মেজরিটিকে (নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ) ঐক্যবদ্ধ করে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে দেওয়া সাত দফা দাবি আদায় করতে বদ্ধপরিকর।

জোটের প্রধান সমন্বয়ক আবু লায়েস মুন্না বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পত্রিকা থেকে জানতে পারছি, নির্বাচন কমিশন ডিসিদের কাছে সহায়তা চাচ্ছে এবং তা দেওয়ার জন্যও ডিসিরা কথা দিচ্ছেন। আমরা এরকম সহায়তার কথা বলছি না। আমরা বলছি- নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রশ্নে নির্বাচনকালে স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কমিশনের অধীনে দেওয়ার সুনির্দিষ্ট আইন পাস করতে হবে। বর্তমানে দেশে প্রায় অর্ধশত দল নিবন্ধিত। এ ছাড়াও অনেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে। যদি একটি কেন্দ্রে ৫০ জন প্রার্থী থাকে এবং তাদের ৫০ জন পোলিং এজেন্ট থাকে, তাহলে ভোটারদের প্রভাবিত করতে এবং ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্সে জাল ভোট দিতে আর কিছুই লাগে না। তাই এই প্রথা বাতিল করতে হবে। যেহেতু নির্বাচন করে নির্বাচন কমিশন তাই নির্বাচন কর্মকর্তাকেই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোটের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ বলেন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আজ ঘোষিত দাবিগুলো অবশ্যই আইন হিসেবে পাস করতে হবে। সেইসঙ্গে ক্ষমতা, টাকা ও গোষ্ঠীগত দাদাগিরি থেকে নির্বাচনকে মুক্ত রাখতে হবে।

এ সময় জোটের কো-চেয়ারম্যান মো. আকতার হোসেন, ছারোয়ার হোসেন, মো. মমতাজ উদ্দিনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে স্মারকলিপি দিতে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।