পাবনা: ঢাকায় ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে সামনে রেখে পাবনায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত পাবনা জেলার সব থানায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে বিএনপির দাবি, বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আর পুলিশ বলছে, গণগ্রেপ্তার নয়, যাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, তাদেরই কেবল গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাবনা জেলা পুলিশের সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ-প্রশাসন) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও মোট সংখ্যা বলতে পারেননি কেউ। তবে বিএনপির দাবি, তাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে এ অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিএনপি বলছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও পাবনা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি তৌফিক হাবিবসহ তিনজন, আটঘরিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ফরিদসহ দুজন এবং আর আতাইকুলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শান্ত ও মাধপুরের সোলাইমান, বেড়া পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. ফারুক আহমেদ জনি, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. দুলাল, ঈশ্বরদীতে সাতজন এবং সুজানগরে ছয় নেতাকর্মী রয়েছেন।
পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার বলেন, অনেক নেতাকর্মীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই, অনেকেই জামিনে ছিলেন। তারপরও তাদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ঢাকায় আমাদের মহাসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে এ গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। কিন্তু কোনোমতেই এ মহাসমাবেশ আটকানো সম্ভব নয়, মানুষ স্রোতের মতো মহাসমাবেশে যাচ্ছে।
তবে পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, গণগ্রেপ্তার করলে তো অনেকে গ্রেপ্তার হতেন। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, আগের মামলা রয়েছে বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, তাদেরই কেবলমাত্র গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৩
এসআই