ঢাকা: শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও তার জেরে সারা দেশে হরতাল ঘোষণার পর রোববার (২৯ অক্টোবর) ভোর থেকে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বাসায় বাসায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
সকাল সাড়ে ৯টায় গুলশানের বাসভবন থেকে আটক করা হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।
এর আগে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটক করার জন্য ভোর ৪টায় তার বাসভবন ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোর ৬টার সময় তার বাসায় অভিযান চালালেও আব্বাসকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আব্বাসের বাসা পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রোববার দুপুরে মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় প্রবেশ করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে ভোর ৫টার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। তবে তখন আমীর খসরু বাসায় ছিলেন না।
এদিকে সকাল ৮টা থেকে পুলিশ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের লালমাটিয়ার বাসভবন ঘিরে রাখে। বেলা সাড়ে ১১টায় তার বাসভবনে প্রবেশ করেন পুলিশ সদস্যরা। একটি সূত্র জানায়, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালও বাসায় ছিলেন না।
দুপুরের পর মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বনানীর ন্যাম ভবনে (বাসা: ৭, রোড ২/১) আবারও তল্লাশি চালাতে প্রবেশ করেছে পুলিশ। লালমাটিয়ার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের পিএস জাহাঙ্গীরকে সঙ্গে নিয়ে বনানীর বাসা আসে।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গুলশানের বাসভবনেও অভিযানে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সেখানে তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই ইশফাক হোসেন ও গাড়িচালক রাজিবকে গোয়েন্দা পুলিশ নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।
এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের শান্তিনগরের বাসভবন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের পল্লবীর বাসভবন এবং যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বাসভবনেও পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
অবশ্য এসব অভিযানের ব্যাপারে পুলিশের কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য মেলেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৩/আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা
টিএ/এইচএ/এমজেএফ