ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মানুষের গাড়িতে আগুন দিলে তার হাহাকার আল্লাহর আরশে পৌঁছে যায়: শামীম ওসমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২৩
মানুষের গাড়িতে আগুন দিলে তার হাহাকার আল্লাহর আরশে পৌঁছে যায়: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমরা চাই না কোনো বাসে আগুন লাগুক, মানুষের ব্যক্তিগত সম্পদ ক্ষতি হোক। মানুষ চাইলে অবরোধ করবে।

আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা জোর করে গাড়ি চালাতে বলব না। তেমনি কারও উচিত না জোর করে গাড়ি বন্ধ করা। একটা মানুষের গাড়িতে যখন আগুন দেবেন তার যে হাহাকার সেটা সরাসরি আল্লাহর আরশে পৌঁছে যায়। এই হাহাকারের সামনে বাঁচবেন না।  

সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় বিএনপির ডাকা অবরোধের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডে আওয়ামী লীগের শান্তির সমাবেশে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।  

শামীম ওসমান বলেন, আমরা কাউকে আঘাত করিনি। আমরা ব্যক্তিগত বা দলগতভাবে কোনো উদ্যোগ নিইনি। আমরা দেখতে পাচ্ছি মানুষের গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে, মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। আমরা এই বাংলাদেশ চাই না। এটা যদি রাজনীতি হয় তাহলে রাজনীতি কলঙ্কিত হয়ে যাবে। ২৮ তারিখ একজন পুলিশকে ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা কুপিয়ে হত্যা করল। আমরা অনুরোধ করব যারা এই ছেলেদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মাঠে নামিয়ে এ সকল নাশকতা করাচ্ছেন। ভবিষ্যতে এদের কিন্তু কনভিকশন হবে। তখন কিন্তু এসব নেতারা থাকবেন না। তারা ইতোমধ্যে দল বদলানোর জন্য চেষ্টা করছে।

যারা লন্ডনে বসে কথা বলছে তারা সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসুক মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা লন্ডন থেকে কথা বলে মানুষকে উসকে দিচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য কী, ওদের উদ্দেশ্য নির্বাচন না। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচনকে বর্জন করে একটা পাপেট সরকার আনা। তবে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা থাকতে ওদের এই আশা সফল হবে না। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন।

শামীম ওসমান আরও বলেন, বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়। সাংবাদিকদের ওপরও হামলা হয়। সাংবাদিকদের কাজ খবর প্রচার করা। সেই সাংবাদিকদের ওপর যে হামলা হলো ২৮ তারিখ, সেই বর্বর হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। সারা দেশে ওরা এ কাজ করছে। ওরা ২০১৩-১৪ সালের মতো করতে চাচ্ছে। তবে এবার ওরা সফল হবে না।

তিনি বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ছয়-সাতজন মানুষ নিয়ে এই সাইনবোর্ডে অগ্নিসংযোগ করছেন। এতে বোঝা যায় ওদের রাজনীতি কোন পর্যায়ে গেছে। রাজনীতি করতে চাইলে আসুন গ্রেপ্তার হোন। আমরা ধৈর্য ধরছি কারণ আমাদের ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে। আমি মনে করি, নারায়ণগঞ্জকে যারা অশান্ত করতে চায় তাদের বলব এগুলো করবেন না।  

এ সংসদ সদ্য বলেন, জাতির পিতার সঙ্গে তার কন্যার পার্থক্য আছে। জাতির পিতা সবাইকে বিশ্বাস করতেন আর তার কন্যা বিশ্বাসঘাতকদের চিনে রেখেছেন। ঢাকার সমাবেশে লাখ লাখ লোকের সমাগম প্রমাণ করে মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। ওরা তো পশুর চেয়েও অধম হয়ে গেছে, যারা পুলিশদের পিটিয়ে হত্যা করে। অসত্য কখনও সত্যের সঙ্গে পারে না, অন্যায় কখনও ন্যায়ের সঙ্গে পারে না।

এসময় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২৩
এমআরপি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।