ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনে না এলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট খেলোয়াড়ের মতো ‘টাইমড আউট’ হবে বিএনপি। তখন আমরা যে ‘খেলা হবে’ বলছি, তার আর সুযোগই থাকবে না।
বুধবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
বিএনপি ও জামায়াতের হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনের আয়োজন ছিল আজ। সমাবেশের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শ্যাডো হয়ে টিএসসি, শাহবাগ ও বাংলামোটর ঘুরে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত মিছিল করে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, যারা অবরোধ দিয়ে মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলতে চায়, তাদেরকেই অবরুদ্ধ করতে ছাত্রসমাজ রাজপথে নেমেছে। আপনারা গান শুনেছেন ‘এর চেয়ে বেশি ভালোবাসা যায় না। ’ আমরা বলি, তারেক রহমানের চেয়ে বেশি দুর্নীতি করা যায় না। সেই তারেক রহমানকে বাংলাদেশে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে শহীদ মিনার মাথা নত করতে পারে না। অগণতান্ত্রিক শক্তির কাছে অপরাজেয় বাংলা পরাজয় মানতে পারে না। ফিলিস্তিনের ওপর নির্মম নির্যাতনের পরও যারা চুপ থাকে, তাদের কাছে বায়তুল মোকাররম হারতে পারে না।
নিজ বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র অন্তর হত্যায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান করেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
সমাবেশে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, হরতাল অবরোধ সেকেলে ধারণা। মানুষের কাছে এ ধরনের রাজনৈতিক ভাষার কোনো গুরুত্ব নেই। বিএনপি যে অবরোধ দিয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই। তারা হরতালের ডাক দেয়, শিক্ষার্থীদের বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা দেয়, ককটেল রেখে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক তৈরি করে। তবে তাদের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও নেই।
ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অভিভাবক জনগণ, কোনো বিদেশি রাষ্ট্র নয়৷ জনগণকে নিয়ে আসুন, খেলা হবে। জনগণকে নিয়ে না এলে কোনো খেলা হবে না; ধরে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আমরা আমেরিকাকে বন্ধু মনে করি। তবে তাদের রাষ্ট্রদূত কোনো অপচেষ্টা করলে আমরা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেব। বাংলাদেশের মানুষ এখন ক্রান্তিকাল পার করছে। যেখানে নিজের দেশের মানুষের ওপরই একদল আগুন লাগায়। পুলিশের যারা মানুষের নিরাপত্তায় মাঠে ছিল, তাদের গায়েও আগুন লাগিয়ে দিতে চায়।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন থানা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ঢাবির বিভিন্ন হল ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২৩
এমজে