ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

উত্তরা-বনানীর সড়কগুলোয় ব্যাপক চাপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
উত্তরা-বনানীর সড়কগুলোয় ব্যাপক চাপ

ঢাকা: বিএনপি-জামায়াতের ঢাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। কিন্তু এটিকে উপেক্ষা করে রাজধানীর জনগণ রাস্তায় নেমেছেন নিজ নিজ কর্মস্থল বা গন্তব্যে যেতে।

ঢাকার উত্তরা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলোয় সকাল থেকে বেশ চাপ লক্ষ্য করা গেছে। গণ-পরিবহনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের যান চলাচল করছে এসব সড়কে।

গলি পথে রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটো রিকশার আধিক্য দেখা গেছে। বাস, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল চলাচল করছে দেদারছে। কর্মজীবীরা সকাল থেকেই মূল সড়কে লাইনে দাঁড়িয়ে বাসে উঠছেন।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুর, হাউজবিল্ডিং, আজমপুর হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। বনানী ফ্লাইওভার থেকে বনানী-কাকলী, মহাখালী, গুলশান, মগবাজার এলাকায় সব ধরনের যানবাহনের প্রচুর চাপ রয়েছে।

সড়কের চিত্র দেখে বোঝা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিকে উপেক্ষা করেই কর্মস্থলে যাচ্ছেন।  

প্রতিটি সড়কের প্রতিটি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। যানজট নিয়ন্ত্রণসহ রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের শৃঙ্খলা রক্ষা করছেন তারা। বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে যাতে করে কোনো বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা ঠেকিয়ে দেওয়া যায়। এ বিষয়টি নজরদারি করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

পরিবহন শ্রমিকরা জানান, গাড়ি না চালালে তাদের ও পরিবারের পেটের ক্ষুধা মেটান যাবে না। তাই ঝুঁকি থাকলেও সড়কে গণ-পরিবহন নিয়ে বের হচ্ছেন তারা।

গাজীপুর পরিবহনের একটি বাসের হেলপার রবিনের প্রতিদিন অবরোধ ভালো লাগে না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের লোকজন হরতাল-অবরোধ ডাকে আর আমগো জীবন শেষে। গাড়ি নিয়া বাইর হইলে তারা ভাংচুর করে, আগুন জ্বালায়। তাদের কোনো ক্ষতি হয় না৷ ক্ষতি হয় সাধারণ মানুষের। শিল-পাডায় ঘষাঘষি কইরা মরিচের যান যায়। মরিচ হইলো সাধারণ মানুষ।

রাস্তায় রাস্তায় সদস্যদের মোতায়েনের ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনো দুষ্কৃতিকারী যাতে নাশকতা বা অগ্নিসংযোগ করে রাজধানীবাসীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।

পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম বিভাগের সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে, যাতে কেউ কোনো গুজব ছড়াতে না পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
এসজেএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।