ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে বিএনপির বিবৃতি, প্রতিবাদ আওয়ামী লীগের 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে বিএনপির বিবৃতি, প্রতিবাদ আওয়ামী লীগের 

খুলনা: খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে সোমবার (১৩ নভেম্বর) জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যকে কটাক্ষ করে বিএনপির কতিপয় নেতা যে মিথ্যা, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছেন তার প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ প্রতিবাদ জানান।

এ সময় তিনি খুলনা বিভাগীয় জনসভা সফল করায় সর্বস্তরের জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানান।

সংবাদ  সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেয়র বলেন, গত ১৩ নভেম্বর খুলনায় বিভাগীয় মহাসমাবেশে বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে এতদাঞ্চলসহ দেশের বৈপ্লবিক উন্নয়নের যে তথ্য তুলে ধরেছেন- তা অস্বীকার করে বিএনপির স্থানীয় কতিপয় নেতা পত্রিকায় যে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিএনপি বিবৃতির শুরুতে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে ‘নিশি রাতের ভোট ডাকাত অবৈধ সরকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন সম্পর্কে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে- যা মেনে নেওয়া যায় না। ভোট ডাকাত কারা তা দেশবাসী জানে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচনে তারা নিজেদের ক্ষমতার জোরে জয়ী ঘোষণা করে সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু তারা তীব্র জনরোষের কারণে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনি।

এছাড়া জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণের পর হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে যেভাবে প্রহসনমূলক নির্বাচন করেছিল- তা দেশবাসীর অজানা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। জিয়াউর রহমান কোনো অবস্থাতে স্বাধীনতার ঘোষক নন। তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবে পরিচিত। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত। অসংখ্য দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন। তাকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়। তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে ’৭৫এর পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও জয়বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করতেন না। ‘বাংলাদেশ বেতারে’র নাম পরিবর্তন করে পাকিস্তানি চেতনায় ‘রেডিও বাংলাদেশ’ নামকরণ করতেন না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, আওয়ামী লীগ নেতা বেগ লিয়াকত আলী, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বি এম এ সালাম বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, কামরুজ্জামাল জামাল, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর করিব, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, মো. শাহজাদা, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, এম এ রিয়াজ কচি, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, অধ্যা. রুনু ইকবাল বিথার, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, কাজী জাহিদ হোসেন, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান হাফিজসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা,  নভেম্বর ১৫,  ২০২৩
এমআরএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।