ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

কক্সবাজারে কোনো আসনই জোটকে ছাড়তে নারাজ আ.লীগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
কক্সবাজারে কোনো আসনই জোটকে ছাড়তে নারাজ আ.লীগ

কক্সবাজার: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের চারটি আসনই পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। এবারও দলের মনোনয়ন চেয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য ছাড়াও আরও অন্তত ৩০ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন।

মহেশখালী ও কুতুবদিয়া ছাড়া বাকি তিন আসনে দুই ডজন নেতা নৌকা চেয়েছেন।

২০১৪ সালের নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসনটি আওয়ামী লীগ জোটগত কারণে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ছেড়ে দেয়। আবারও এ আসনটি জোটের শরিকরা ভাগ বসাতে চায়। এবার আলোচনায় এসেছেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির (জেপি) কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য এ এইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ।

তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, চকরিয়া ও পেকুয়ায় জেপির কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। এরশাদের আমলে ১৯৮৬-৮৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ১৯৯০ সালের পর থেকে তিনি ভোটের মাঠে নেই। এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে সহজে মেনে নেবেন না।

২০১৮ সালে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ৪৫ বছর পর জাফর আলম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।  

এক সময় বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসনটি জেলার রাজনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে এখানে সালাহউদ্দিন ও তার স্ত্রী টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, বিএনপির দুর্গ ভাঙতে আবারও এ আসনে জোটের নয়, দলের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া উচিত।

১৯৯৬ থেকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি মনোনয়ন পেয়ে নিবার্চন করে হেরে যান। তিনি এবারও মনোনয়ন চেয়েছেন।

এ আসনে নতুন মুখ সাবেক জেলা জজ আমিনুল হক। তিনি বেশকিছুদিন ধরে মাঠে-ময়দানে কাজ করছেন। নৌকা চেয়ে তিনিও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। মনোনয়নের দৌড়ে আমিনুল হকও বেশ আলোচনায় আছেন।  

এছাড়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এ টি এম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, রাশেদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম সজীব দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ফরম জমা দিয়েছেন।

গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার সফরে এসেছিলেন। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপথ ও আইকনিক রেলস্টেশন, মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ১৪টি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। বিকেলে মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন।

জনসভায় চার আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নজর কাড়তে ব্যাপক লোক সমাগম, সড়কে তোরণ, ফেস্টুনসহ নানা প্রচারণা চালায়। এ জনসভায় কক্সবাজার-২ (মহেশখালী ও কুতুবদিয়া) আসনের দুই বারের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের হাতে তুলে দেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘সব আসনেই একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে। দলের মনোনয়ন বোর্ড যাকে মনোনয়ন দেবে সবাই তার পক্ষেই কাজ করবে। সবার ‘আমলনামা’ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। তিনিই বিবেচনা করবেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।