ব্রাহ্মণবাড়িয়া: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে নির্বাচন করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম নেওয়ায় সদ্য বহিষ্কৃত সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপি।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) জেলা বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
আরএকে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একরামুজ্জামানের পক্ষে মো. বকুল মিয়া নামে দলীয় এক কর্মী গত ২৭ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এ ঘটনায় পরদিন (২৮ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ এবং দলের প্রাথমিক সদস্যের পদ থেকে একরামুজ্জামানকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতেই পারেন। তবে নির্বাচন করবেন কিনা- সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নূরে আলম ছিদ্দিকীর সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বাসঘাতক, জনবিচ্ছিন্ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি তথা নাসিরগর উপজেলা বিএনপির রাজনীতি থেকে পরিত্যক্ত একরামুজ্জামান কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তকে জেলা বিএনপি অর্বাচীন এবং বাণিজ্যিক লোভে আক্রান্ত হওয়ার কারণ মনে করেন। তাই তাকে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
এদিকে তার নির্বাচনী আসন নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকেও তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান বলেন, আমি বিশ্বাসঘাতক কেনো হবো? আমি তো আওয়ামী লীগ কিংবা তৃণমূলে যোগ দেইনি। আমার কাছে মনে হয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করাটা সমীচীন হবে না। তাই আমি নির্বাচন করছি। বিএনপি তো আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে করবে না- এটাতে অটল আছে। সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তাকেই দল থেকে বহিষ্কার করছে। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৩
এসএম