ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন চিরতরে ফুরিয়ে গেছে: ড. মঈন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৩
ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন চিরতরে ফুরিয়ে গেছে: ড. মঈন

ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে উচ্ছ্বাস কিংবা আগ্রহ কোনোটাই নেই। এটা স্পষ্ট যে, নির্বাচনের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণ নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ইতোমধ্যেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। মানুষের ভোটকেন্দ্রে যাবার প্রয়োজন বাংলাদেশে চিরতরে ফুরিয়ে গেছে। ক্ষমতার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে এই যে নির্বাচন নির্বাচন খেলা, সেটির পরিণাম কখনোই জাতির জন্যে মঙ্গলজনক হতে পারে না।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ড. আব্দুল মঈন খান।

মঈন খান বলেন, বিএনপি একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য, জনগণের ভোটাধিকার পুনর্বহালের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই আন্দোলন চলতেই থাকবে যতদিন না গণমানুষের এই আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়।

ইতোমধ্যে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল পাতানো নির্বাচনের তফসিল বর্জন করেছে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই নির্বাচন নিয়ে আস্থাহীনতার প্রশ্ন তুলেছে। তারা যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিল, সরকার তা আমলেই নেয়নি। ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ নির্বাচনে পর্যবেক্ষকও পাঠাচ্ছে না। কারণ তারা বুঝে গেছে, নির্বাচনের নামে এখানে কত বড় প্রহসন হতে যাচ্ছে।

মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এদেশে জনগণের আন্দোলন কখনোই বৃথা যায়নি উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এবারও যাবে না। সরকার মনে করেছে, আগের মতো এবারো একতরফা একটি নির্বাচন করে স্বাচ্ছন্দ্যে ক্ষমতায় থাকবে। সেটা হবার নয়, কেন না এখন ২০১৪ বা ২০১৮ নয়।

মঈন খান বলেন, ৩০ নভেম্বর পরবর্তী রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে বাস্তবতাকে উন্মোচিত করতে গেলে যে কঠিন সত্যটি উল্লেখ করতে হচ্ছে তা হলো, সরকার মনোনয়ন জমা দেবার দিনটিকে তাদের নির্বাচনে বিজয়ের দিন বলে উল্লাস করছে। এটা যে তাদের জন্যে কত বড় ভ্রান্তিবিলাস, তা তারা আজ বুঝতে না পারলেও এ ভুলের জন্যে জনতার আদালতে আওয়ামী লীগকে বিশাল মূল্য দিতে হবে। সেটা তারা আজ কল্পনাও করতে পারছে না। ক্ষমতার মোহে ও অর্থবিত্ত আহরণের লোভে অন্ধ হয়ে তারা দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে গিয়েছে, যা শুধু আওয়ামী লীগের জন্যে নয়, পুরো জাতির জন্যেই অচিরে মারাত্মক এক পরিণতি ডেকে আনবে।

তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকারকে চিরতরে হরণ করার সরকারের এই যে  কাণ্ডজ্ঞানহীন চিন্তাধারা, যা বাংলাদেশেকে ৭ জানুয়ারি একটি নির্বাচনী সার্কাসের দিকে ধাবিত করছে। এটা আজ শুধু দেশের ভেতরে নয়, বরঞ্চ সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মননশীল মানুষের সামনে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটি কলঙ্কময় ভাবচিত্র প্রতিস্থাপন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।