ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচন প্রতিহতকারীদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
নির্বাচন প্রতিহতকারীদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: নির্বাচন প্রতিহতকারীদের যুক্তরাষ্ট্রকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, ‘যারা বাংলাদেশে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করছে এবং যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার অপচেষ্টা করছে তাদের  বিরুদ্ধেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি যুক্তরাষ্ট্রকে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক অনলাইন নিউজ পোর্টালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গাজায় পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে। হায়নার হিংস্রতাকে ম্লান করে দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে মানুষ হত্যা করছে সেটার বিরুদ্ধে অ্যামেনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল এখন কোথায় এটা আমরা জানতে চাই। একটু আগে দেখলাম, ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনিদের জায়গায় অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করছে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা স্যাংশন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আশা করব যারা বাংলাদেশে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করছে এবং যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার অপচেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধেও তারা  যুক্তরাষ্ট্র) ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে।

তিনি বলেন, যারা সময়ে সময়ে জাতিকে বুদ্ধি দেয় তারা এখন কোথায়? কাউকে ঘুষি মারলেও তারা বিবৃতি দেয়। বরিশালে একজনকে ঘুষি মেরেছে তাতেও বিবৃতি দিয়েছে, গুলশানে একজনকে ধাওয়া করেছে তাতেও বিবৃতি দিয়েছে। তারা এখন কোথায়? এখন যে মানুষ পুড়িয়ে মারছে, ওনারা কোথায় হারিয়ে গেলেন? জনগণ তাদেরকে খুঁজছে। ওনাদের বুদ্ধি কি এখন লোপ পেয়েছে? নাকি তারা বুদ্ধি করে চুপ করে আছেন। গত ২৮ অক্টোবরে সাংবাদিকদের পেটানোর ঘটনায় ওনারা কোনো বিবৃতি দেননি। শুধু বাংলাদেশেও না, কিছু কিছু আন্তর্জাতিক বিবৃতিজীবিও আছে। এখন ওনারা কোথায়?

বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, আজকে যা করা হচ্ছে চোরাগুপ্ত হামলা, পেট্রলবোমা মারা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা৷ এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। সন্ত্রাসী কার্যক্রম  এই ঘটনাগুলোকে বর্ণনা করার জন্য যথেষ্ট নয়৷ গত ২৮ তারিখ যেভাবে পিটিয়ে পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে, বর্বরভাবে সাংবাদিককে পেটানো হয়েছে, সাপ পেটানোর সময় মানুষ এরকম করে কিনা সন্দেহ আছে। তারা সেই কাজটি করেছে। গণমাধ্যমের সবাই যদি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তাহলে এই কাজ তারা করতে পারবে না৷

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যত ধরনের হানাহানি সৃষ্টি হয়েছে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সবগুলোর পেছনে ভুয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দায়ী। নাসিরনগর, রামু, কুমিল্লা, বরিশালের ঘটনায় ভুয়া অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী৷ এসব ব্যাপারে আমাদের এক্সট্রা কেয়ারফুল হতে হবে৷ না হলে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে৷ এসব আমরা মোকাবেলা করেছি এবং যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলো তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, ওর মায়ের জন্য দরদ নাই ও দেশের প্রতি কী দরদ দেখাবে?  ওরা দেশটাকে ডেস্ট্রয় করতে চায়। আগামী নয় দশ বছর পরে আমরা যদি বেঁচে থাকি তাহলে আমরা দেখব বঙ্গবন্ধুর প্রজন্ম যারা আছে তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে ব্রিটেনেরও প্রধানমন্ত্রী হবে। এটা আমার বিশ্বাস। এই যোগ্যতা ও দক্ষতা তাদের আছে। এই যোগ্যতা তারেক রহমানের নাই।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ হবে এরশাদ সিকদার কিংবা ভারতের ছোটা শাকিলের মতো। ওদের নামের সাথে তার নাম থাকবে। দাউদ ইব্রাহিম পর্যন্ত যেতে পারবে না। ও নিচেই থাকবে। ও ছোটা শাকিলদের মতোই থাকবে এবং অবশ্যই একদিন খলনায়ক থেকে মহাখলনায়ক হবে।

এনএএন টিভির সম্পাদক ও প্রকাশক সাবিহা মুবাশশিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশের ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান শ্যামল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড আব ট্রাস্টির ট্রেজারার তানভির হায়দার ভূইয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩
এইচএমএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।