নাটোর: নাটোর কারাগারে অসুস্থ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ কে আজাদ সোহেল নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
সোহেল নাটোরের সিংড়ার হাতিয়ন্দহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি।
সিংড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লেলিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় এ কে আজাদ সোহেলকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ৩০ নভেম্বর আদালত তাকে (এ কে আজাদ সোহেল) জামিন দেয়। পরে কারাগারে তাকে নিয়ে আসতে গেলে কর্তৃপক্ষ জানায়, এ কে আজাদ অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সোহেলকে রাজশাহী মেডিকেলের বারান্দার বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। জামিনের পরে কারা কর্তৃপক্ষের মারফতে পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনা জানলে তারা গিয়ে সোহেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে আজ তার মৃত্যু হয়।
সোহেলের বড় ভাই শামীম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিনা অপরাধে আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাটোর কারাগারে অসুস্থ হলে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে কারা কর্তৃপক্ষ। সেখানে আজ দুপুরে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, মরদেহ এখনো হাসপাতালেই আছে। মরদেহ বের করতে পারলে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জানাজা ও দাফন হবে।
নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, এ কে আজাদ সোহেলকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সেখানে নির্যাতনের পরে তিনি স্ট্রোক করেন। কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন।
তার মৃত্যুতে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেন এই নেতা।
নাটোর জেলা কারাগারের জেলার মো. মোশফিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ২১ নভেম্বর এ কে আজাদ সোহেলকে জেলহাজতে নিয়ে আসা হয়। তিনি নাশকতার মামলার আসামি ছিলেন। ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করলে তাকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিনি রাজশাহী কারাগারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৩
এএটি