ফরিদপুর: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর সদরের (৩ আসন) কানাইপুর ইউনিয়নের রায়কাইল এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
আসনটির নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সমর্থক এবং স্থানীয় সাবেক মেম্বার মো. ছোহরাব শেখের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় রোববার (১০ ডিসেম্বর) কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ভুক্তভোগীরা।
হামলা শিকার ব্যক্তিরা জানান, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে স্থানীয় ইয়াছিন বেপারীর চায়ের দোকানে ৩০-৪০ জন লোক নিয়ে তাদের ওপরে দেশীয় রামদা, ছ্যান, লাঠি, হকিস্টিক দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা দোকানপাটে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা দাবি করেছেন তারা এ কে আজাদের সমর্থক, আর এ কারণেই তাদের ওপর দলবল নিয়ে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা ফরিদপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সমর্থক বলে জানান আহতরা।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় ২০-২৫ জনের নামে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মো. আলমগীর প্রধানিয়া (৩০)।
থানায় ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানাধীন রায়কাইল গ্রামের ইয়াছিন বেপারীর চায়ের দোকানের সামনে চা পানরত অবস্থায় আলমগীর প্রধানিয়ার ওপর সাবেক মেম্বার মো. ছোরহাব শেখ (৪০), মো. কবির মোল্লা (৫০), চঞ্চল মিয়া (৫০), মো. তাওহিদ ইবনে আলম সার্জেন মিয়া (৩৫), মো. আসলাম (৩৬), মো. জাহিদুল শেখ (৩২), মো. শরিফ মিয়া (২৮), মো. কুদ্দুস বেপারী (৫০), মো. মুবেলসহ (৩৫) অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জন ইয়াছিন বেপারীর চায়ের দোকানে হামলা চালায়।
এ সময় তার চিৎকারে নুরুল আমিন প্রধানিয়া, আজিম উদ্দিন বিশ্বাস, মিন্টু প্রধানিয়া, হযরত আলী খান, আলামিন মাতবার, নূর মোহাম্মদ, ইয়াছিন, সেলিমসহ আরও লোকজন এসে থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তারাও গুরুতর জখম হন। এ সময় আসামিরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেন।
মো. আলমগীর প্রধানিয়া বলেন, ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থনে এ এলাকায় কাজ করছি। আমাকে এ আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম হকের পক্ষে কাজ করতে তার (শামীম) সমর্থক সাবেক মেম্বার ছোহরাব শেখ নানাভাবে চাপ দিচ্ছিল। আমি আজাদ ভাইয়ের পক্ষে কাজ করছি এটা জানতে পেরে, গত রাতে চা খাওয়া অবস্থায় আমার ওপর হকিস্টিক, লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। আর বলে, আমি যেন আজাদ ভাইয়ের পক্ষে কাজ না করি। তারা হামলার সময় বলতে থাকেন, আজাদ সাহেবের নির্বাচন যারা করবে তাদের মাইরা হাড়গোড় ভেঙে দেওয়া হবে। এ দেশে তাদের থাকতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, এ সময় পুলিশকে খবর দিলে তারা পালিয়ে যান। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশের দুটি টিম পাঠানো হয়। তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় উভয়পক্ষকেই শান্ত থাকতে বলি। আমরা এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
এসআরএস