ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বতন্ত্র-নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বতন্ত্র-নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামের দুটি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর একটি প্রচার অফিসে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।  

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে এসব ঘটনা ঘটে।

দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী দোহাপাড়ায় নৌকার নির্বাচন অফিস ভাঙচুরের পর লুটপাট ও বিনোদপুর ইউনিয়নের একবরপুর ও লচমানপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের দুটি নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম লালু জানান, ডেকোরেটর থেকে মালামাল এনে মঙ্গলবার নৌকা প্রতীকের একটি অফিস বানানো হয়। সেখানে চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য প্রচারসামগ্রী ছিল। রাত ২টার পর দুর্বৃত্তরা অফিসটি ভাঙচুর করে সমস্ত মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। অফিসটি বুধবার সকালে উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল।  

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল জানান, দাইপুখুরিয়ায় আমার নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।  

কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি আরও বলেন, আমার প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী বা তৃতীয় কোনো পক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে এর আগেও একই ইউনয়নে একটি নির্বাচনী অফিস এবং কানসাট, সত্রাজিতপুর, রানিহাটিসহ কয়েকটি এলাকায় নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। সর্বশেষ ঘটনাটি ইতোমধ্যেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। যারা আমার অফিস ভেঙে লুটপাট করেছে তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।

অপরদিকে বিনোদপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম দুদু জানান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একবরপুর টাওয়ার মোড়ে ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লচমানপুর এলাকায় মঙ্গলবার রাতে কে বা কারা নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনের অংশ পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে কয়েকটি চেয়ার ও টেবিল পুড়ে গেছে। তবে স্থানীয়রা দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলায় এবং মূল কার্যালয়টি দালান ঘর হওয়ায় আগুন নির্বাচনী অফিসে লাগেনি।
তবে বিষয়টি জানতে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, একটি নৌকার অফিস ও দুটি ট্রাকের অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ তদন্ত করছে। যারা ভাঙচুর, লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকবে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।  

অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এএফএম আবু সুফিয়ান জানান, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।