ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

পটুয়াখালীতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এমপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা, মানববন্ধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
পটুয়াখালীতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এমপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা, মানববন্ধন

পটুয়াখালী: পটুয়াখালী-১ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেসের নাসির উদ্দীন তালুকদারের বিরুদ্ধে ৩৬ লাখ টাকার প্রতারণা মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মো. সাইফুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি।  

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আশিকুর রহমানের আদালতে সাতজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলায় পরিবারের ছয়জনসহ নাসির উদ্দীন আসামি।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী মো. ফোরকান রতন।  

মামলার আসামিরা হলেন- পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠী এলাকার মৃত্যু হাকিম হাওলাদারের ছেলে ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দীন তালুকদার (৪৮), রুস্তুম আলী সরদারের মোস্তফা জামাল (৫৫), মৃত ওসমান তালুকদারের ছেলে আব্দুল হাই তালুকদার (৬৫), নাসির উদ্দীন তালুকদারের স্ত্রী লাইজু পারভীন (৪০), টাউন জৈনকাঠী এলাকার এনছান আলী হাওলাদারে ছেলে এনায়েত হোসেন (৬০), গুলবাগ এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী কাকুলী (৩৫) ও দক্ষিণ সবুজবাগ এলাকার সামশুল হক মোল্লার ছেলে সহিদুল ইসলাম (৪০)।

এদিকে, ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে প্রতারকের বিচার চেয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।  

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী সাইফুল্লাহ, ভুক্তভোগী পাখি আক্তার, রুহুল আমিন, জাহানুর বেগম ও শাহিনুর বেগম।  

এ সময় তারা বলেন, নাসির উদ্দীন তালুকদারের নিদিষ্ট কোনো পেশা নেই। তিনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন ও সম্পর্ক গড়েন। তারপর সেখানকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে চলে যান। আর সেই প্রতারণার টাকায় একজন ভোটে দাঁড়াবে, আর মানুষ তাকে ভোট দেবে -তা হতে পারে না।  

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নাসির উদ্দীন নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ২০০২ সালে জনকর্ম সহায়ক সোসাইটি (জনক) নামে একটি নামসর্বস্ব এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন। পটুয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে জাকিয়া মঞ্জিলে একটি অফিস নিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করেন। দীর্ঘদিন কার্যক্রম চালিয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে প্রায় পাঁচ শতাধিক সাধারণ মানুষের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। কয়েকদিন পরে নাসির উদ্দীন আত্মগোপনে চলে যান। পরে নাসির উদ্দীন ২০১২ সালের ৫ জুলাই ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার করে আবার আত্মগোপনে চলে যান। এরপর গত ২৫ ডিসেম্বর নাসির উদ্দীন তালুকদার জৈনকাঠী এলাকার চন্দনবাড়িয়ায় নির্বাচনী প্রচারণা গেলে ভুক্তভোগীরা তাদের পাওনা টাকা ফেরতে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সুকৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। পরে নাসির উদ্দীন তালুকদারকে না পেয়ে দরিদ্র পরিবারগুলো আদালতে মামলা করেছেন।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে নাসির উদ্দীন বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি সমিতি বন্ধ করে দিয়েছি ১৫ বছর আগে, আর এখন ২০ বছর পরে এসে সেই সমিতির সদস্যরা টাকার দাবি করছেন! এতদিন তারা কেন টাকা দাবি করেনি? আসলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কৌশল করে সাবেক সদস্যদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা ও অপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি অবশ্যই সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।