ঢাকা: আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেরাণীগঞ্জের জনগণকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ। তিনি বলেন, কেরাণীগঞ্জের মানুষ নসরুল হামিদ বিপুকে ভালোবেসে ৭০ শতাংশ ভোট নৌকা প্রতীকে দেবে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের ইস্টার্ন বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে ঢাকা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নসরুল হামিদ বিপু অসুস্থ থাকার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি। বৈঠকের আয়োজন করে বৃহত্তর চর এলাকাবাসীর সর্বস্তরের জনগণ।
এসময় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর ইকবাল বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক সোহাগ সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী জসীম মাহমুদ, মো. সাইদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, এলাকার সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপু অন্ধকার কেরাণীগঞ্জকে আলোকিত ও সন্ত্রাসমুক্ত করেছেন। এই উপজেলাকে শান্তির জনপদে পরিণত করেছেন। আমার-আপনার সবার প্রিয় নেতা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ভাই। তিনি একজন সফল প্রতিমন্ত্রী। আজকে তার জন্য ভোট প্রার্থনা করতে এখানে উপস্থিত হয়েছি।
তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবাই মনে করেন, তিনি যে উন্নয়ন করেছেন তাতে এই কেরাণীগঞ্জের মানুষ নৌকার প্রতীকে ভোট দেবে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় সে কাজটা কীভাবে করতে হবে। তাহলে আপনাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। অনেকেই ভাবেন, বিপু ভাই তো পাস করে যাবেন, ভোটকেন্দ্রে না গেলে কী হবে। কিন্তু আমি বলবো অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন। কারণ এই পরিসংখ্যান আমাদের সমৃদ্ধ করবে। তাহলে সারাদেশে দেখাতে পারবো, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর কোনো বিকল্প নেই। কেরাণীগঞ্জের মানুষ তাকে ভালোবেসে ৭০ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
শাহীন আহমেদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জনের কথা বলে। দেশকে একটি বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে ফেলতে চাচ্ছে। তারেক রহমান লন্ডনে বসে নিপুণ রায় ও গয়েশ্বর রায়কে দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চাকা বন্ধ করে দিতে চায়। দেশের সাধারণ মানুষ এটা হতে দেবে না, তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা যে ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে সেটা আগামী ৭ জানুয়ারি প্রমাণ হবে, বিএনপি রাজনীতি দেউলিয়াত্বে পরিণত।
তিনি বলেন, বিপু ভাই বিভিন্ন বক্তব্যে বলেছেন—এবার নির্বাচিত হলে কেরাণীগঞ্জের প্রতিটি ঘরে ঘরে গ্যাস পৌঁছে যাবে। রাস্তা সংস্কার করা হবে। এজন্য আপনাদের দলমত নির্বিশেষে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। এই নৌকা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছে, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ চেতনার প্রতীক। এই প্রতীক আপনাদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের সবচেয়ে প্রিয় প্রতীক।
প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে শাহীন আহমেদ বলেন, এজন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৌকা উপহার দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আসুন ৭ তারিখে বিপু ভাইকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিই, পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে ক্যাবিনেটে তাকে দেখতে চাই। নৌকা ছাড়া আমাদের কোনো গন্তব্য নেই। নৌকাকে বিজয়ী করে আমরা ইতিহাস রচনা করবো। আমরা বিশ্বাস করি এবার নির্বাচিত হলে কেরাণীগঞ্জ একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী পাবে। এজন্য সবাইকে ৭ তারিখে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
জিসিজি/এইচএ/