ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘সীমান্তে লাশ পড়লেও প্রতিবাদ হচ্ছে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
‘সীমান্তে লাশ পড়লেও প্রতিবাদ হচ্ছে না’

ঢাকা: প্রতিনিয়ত সীমান্তে লাশ পড়লেও সরকারের দিক থেকে কোনো প্রতিবাদ হচ্ছে না মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নেতারা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।  

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে এবং বাংলাদেশে বিদেশি আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এ আহ্বান জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামান বলেন, ভারত আগে আমাদের সীমান্তে সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করেছে, আর এখন তারা খোদ আমাদের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিজিবি) ওপর আঘাত শুরু করেছে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এটা কোনোভাবেই মানতে পারছি না। এদেশের মানুষের এখন মুক্তির একটাই পথ, তা হলো ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের ভোটারবিহীন ডামি সরকার নির্লজ্জভাবে ভারতের গোলামি করছে। বাংলাদেশকে অক্টোপাসের মতো গিলে ফেলেছে তারা। এখনই সময় ভারতীয় পণ্য বর্জনের মাধ্যমে ব্যবসায়িকভাবে ভারতকে বাংলাদেশে দুর্বল করা। আমরা গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি, ভারতীয় পণ্য বর্জন করে দেশীয় পণ্য ব্যবহার করুন।

প্রতিবাদ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, এ ডামি সরকার জনগণের ভোট ছাড়াই ক্ষমতার গদিতে বসে রয়েছে বিধায় তারা সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারছে না। ভারত আগে মারতো সাধারণ নাগরিকদের, এখন আমাদের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী তথা বিজিবিকেও তারা ছাড়ছে না। এমন একটি জঘন্য হত্যার প্রতিবাদ বাংলাদেশ তো করেননি, উল্টো এটাকে বিছিন্ন ঘটনা বলেছেন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতের অনুকম্পা নিয়ে ক্ষমতায় আছে এ ডামি সরকার। সুতরাং এদের দিয়ে দেশ ও জাতির কোনো কল্যাণ আসবে না।

তিনি আরও বলেন, তারা জানে, প্রতিবাদ করলে দিল্লির দাদারা রেগে যাবে, আর দাদারা রেগে গেলে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। দাদারা অখুশি হয়, এমন কাজ করবে না আওয়ামী লীগ। আমরা গণঅধিকার পরিষদ পরিষ্কারভাবে বলছি, এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউই ঘরে ফিরব না।

এ সময় গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নেতা তারেক রহমান, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, জিয়াউর রহমান, ইমাম উদ্দিন, আরিফ বিল্লাহ, যুবনেতা রাসেল খন্দকার, ছাত্রনেতা মোল্লা রহমতুল্লাহ, মুনতাসীর মাহমুদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।