ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ডাকা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেওয়ায় ফখরুলের নিন্দা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৪
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ডাকা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেওয়ায় ফখরুলের নিন্দা

ঢাকা: গত ২৯ জুন ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে ও ১ জুলাই সব মহানগরে এবং বুধবার (৩ জুলাই) সব জেলা শহরে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সরকারদলীয় নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ নাটোর জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশস্থলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, নাটোর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুসহ অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করে।

 

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর এবং কলাপাড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন সিকদারসহ অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করে।  

সকাল থেকে বাগেরহাট জেলা বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর বিএনপির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমসহ নেতৃবৃন্দকে পুলিশ বাহিনী অবরুদ্ধ করে রাখে।

নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন আড়াইহাজার থানা বিএনপি নেতা ও দুবতারা ইউনিয়ন বিএনপি নেতার ওপর আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর আহত করেছে।

গত ৩০ জুন কামরাঙ্গীচর থানার একটি মিথ্যা মামলায় থানা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল হকসহ মোট ছয়জন নেতাকর্মী এবং কোতোয়ালি থানার একটি মিথ্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূঁইয়ার জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গতকাল (২ জুলাই) রাত আড়াইটায় রাজধানীর শিশু হাসপাতাল থেকে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মারজুক আহমেদ আল-আমিনকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়া গত ৩০ জুন  দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা জেলাধীন কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামানকে রতনপুরস্থ নিজ বাড়ি থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। এখনো তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। গত ১ জুলাই সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান রাসেলকে রাজধানীর আজিমপুর অগ্রণী স্কুলের সামনে থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।  

৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী অবৈধ শাসকগোষ্ঠী বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক সহিংস আক্রমণ শুরু করেছে। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর জখমসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের উদ্দেশ্যই হলো-আওয়ামী অবৈধ শাসন নিয়ে কেউ যেন প্রতিবাদ করতে সাহস না পায়। বিএনপিসহ সমমনা দল এবং গণতন্ত্রকামী মানুষের চলমান আন্দোলন-কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতেই এমন করা হচ্ছে। এ ধরনের বর্বরতার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। নিষ্ঠুরতা, পৈশাচিকতা, বর্বরতা, অমানবিকতার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে গুরুতর আহত নেতাকর্মীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি উল্লিখিত নেতাকর্মীদের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং নিখোঁজ নেতাদের অবিলম্বে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩২ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৪
টিএ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।