ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নাটোরে শেখ হাসিনা ও শিমুলের নামে আরও দুটি হত্যা মামলা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
নাটোরে শেখ হাসিনা ও শিমুলের নামে আরও দুটি হত্যা মামলা 

নাটোর: নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া মিকদাদ হোসাইন খান আকিব (১৭) ও মো. শরিফুল ইসলাম মোহন (৪০) নামে দুজনকে অপহরণ, গুম ও পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামসহ ৪৭ জনকে আসামি করে দুটি মামলা করা হয়েছে।

শহরের উপ-শহরের মো. দেলোয়ার হোসেন খান ও উত্তর বড়গাছা এলাকার এসএম সেলিম মাসুম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর থানায় এ মামলা দুটি করেন।

 

মামলা দুটির একটির বাদী দেলোয়ার হোসেন খান। তিনি জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি তার ছেলে হত্যার অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি বাশিরুর রহমান খান এহিয়া চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ২৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। এ মামলায় আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন দুপুরের পর দেলোয়ার হোসেন খানের ছেলে আকিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন। বিকেলে তিনি মিছিল থেকে বিচ্ছিন্ন হলে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় সেই সময়ের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল শহরের ছায়াবানী মোড় থেকে আকিবকে অপহরণ করে গুম অথবা হত্যার উদ্দেশে সেই সময়ের নিজের (এমপি শিমুলের) বাড়ি ‘জান্নাতি প্যালেসে’ আটকে রাখেন। সরকার পতনের খবরে ছাত্র-জনতা জান্নাতি প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে বাইরে থেকে ঘরে আগুন দিয়ে শিমুল অন্য আসামিদের নিয়ে পালিয়ে যান। এর আগে ছাত্র আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে বাদী জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনকে ২৮ জুলাই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।


অপর মামলার বাদী এসএম সেলিম মাসুম এজাহারে ছোট ভাইকে হত্যার অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা ও শফিকুল ইসলামসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

তার মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট এস এম সেলিম মাসুমের ভাতিজা ফারহান ফুয়াদ ও ছোট ভাই মো. শরিফুল ইসলাম মোহন সরকার পতনের দিন দুপুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন। একপর্যায়ে মিছিল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আসামিরা মো. শরিফুল ইসলাম মোহনকে জিম্মি করে গুম অথবা হত্যার উদ্দেশে শিমুলের জান্নাতী প্যালেসে আটকে রাখেন। ছাত্র-জনতা জান্নাতি প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে সরকার পতনের খবরে বাইরে থেকে ঘরে আগুন দিয়ে শিমুল অন্য আসামিদের নিয়ে পালিয়ে যান। পর দিন শরিফুল ইসলাম মোহনের পুড়ে যাওয়া মরদেহ শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাসা (জান্নাতী প্যালেস) থেকে উদ্ধার করা হয়।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।