নারায়ণগঞ্জ: গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, আমাদের সামনে সময় এসেছে নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার। সেজন্য আপনাদের কাজ করতে হবে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, যারা ত্বকীকে হত্যা করেছে, সাত খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে, সেই ওসমান পরিবারের সদস্যদের নারায়ণগঞ্জের মানুষ বিতাড়িত করেছে।
তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের কণ্ঠকে রুদ্ধ করেছিল। যারা মানুষকে ভয় দেখাত, যারা হত্যা-গুম-খুনের রাজনীতি নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেসব খেলোয়াড়রা বোরখা পড়ে পালিয়ে গিয়েছে। খেলোয়াড় শামীম ওসমান সব সময় বলতেন ‘খেলা হবে’। অথচ খেলার আগেই আউট হয়ে তারা ভয়ে কাপুরুষের মতো ভারতে পালিয়ে গেছে। এই খেলোয়াড়দের জায়গা বাংলাদেশের মাটিতে হয়নি।
তিনি বলেন, এই আন্দোলনে আমাদের গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে এই অভ্যুত্থানে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আমাদের ১১ জন ভাই এই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন। আমাদের অসংখ্য ভাই গুলিবিদ্ধ হতে হয়েছে। আমাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। কিন্তু আমরা কী পালিয়ে গিয়েছি? আমরা দেশে থেকে হাসিনাকে বিদায় করেছি। দীর্ঘ সাত বছর আমরা রাজপথে লড়াই করেছি।
রাশেদ খান বলেন, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ প্রত্যেককে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। শেখ হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো ন্যায় বিচার হবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা পালিয়ে যায়নি। এখনও পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী ঠিকমতো কাজ করছে না। শেখ হাসিনার দোসররা বাংলাদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। যারাই ষড়যন্ত্র করবে তাদের এদেশের জনগণ দাঁত ভাঙা জবাব দেবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা যে অপকর্ম করেছে এরপর তারা আর এদেশে রাজনীতি করতে পারে না। তারা রাজনীতি করার সমস্ত অধিকার এই গণহত্যা ঘটানোর মাধ্যমে হারিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২৪
এমআরপি/এসআরএস