মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় ফিরাজুল ইসলাম (৪৫) নামে আওয়ামী লীগের এক স্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে ফিরাজুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফিরাজুল ইসলাম গাংনী উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের গোয়ালপাড়া এলাকার গোলাম শাহ’র ছেলে ও ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড বাহাগুন্দা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে গাংনী পৌরসভার চৌগাছা গ্রামের রেজানুল হক বাদী হয়ে ধারা ২০০৯ সাল (সংশোধনী ২০১২) এর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)/৭(৫)/৭(৬)(ক)৭(৬)(খ)/১০/১১/২/১৩ ধারায় সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার গাংনী থানার মামলা নম্বর ১১, তারিখ ২০/০৮/২৪ ইং।
এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ফিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শশক (এসআই) নিখীল চক্রবর্তী।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত ফিরাজুল ইসলামকে আদালতে নেওয়া হবে।
এর আগে এ মামলায় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক ও প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১২। মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম জামিনে মুক্তি পেলেও সেই থেকে জেলহাজতে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক।
স্থানীয় বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিগত ১৭ বছর ফিরাজুল ইসলামের অত্যাচার নির্যাতনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা তটস্থ থাকতেন। বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানিসহ বাড়ি ঘরে হামলা ভাঙচুর করে আসছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে বিএনপি নেতা নুর ইসলামের বাড়িতে তার নেতৃত্বে আগুন দিয়ে চারটি গরু মেরে ফেলা হয়। এছাড়া নুর ইসলামের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে। ফিরাজুল ইসলামের ভয়ে বিএনপি জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী এলাকা ছাড়া হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৪
আরএ