ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

লন্ডন থেকে যে বার্তা আনলেন মির্জা ফখরুল

তানভীর আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪
লন্ডন থেকে যে বার্তা আনলেন মির্জা ফখরুল

ঢাকা: দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে সফল আলোচনা শেষে দেশে ফিরেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দেশের শীর্ষ এ দুই রাজনীতিকের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ১২ দিনের সফর শেষে সস্ত্রীক বৃহস্পতিবার
(১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন ফখরুল।

বিএনপি সূত্র বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে দলটির শীর্ষ নেতারা। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও নির্বাচন নিয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে লন্ডনে অবস্থানরত দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করতে লন্ডনে গিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দলটির বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান। যে বিজয় এসেছে তা রক্ষা করার নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। দেশে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা নির্বাচিত সরকার ছাড়া মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জিং এমন বিষয়েও আলোচনা হয় দলের শীর্ষ এ দুই নেতার মধ্যে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে নির্বাচনী রোডম্যাপ আদায়ের কৌশল নির্ধারণ করা, বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখাকে অধিকতর প্রচারণা ও কার্যকর করা, দলকে সাংগঠনিকভাবে আরও গতিশীল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বিস্তর আলোচনার উদ্দেশে লন্ডন যান মির্জা ফখরুল।

এছাড়া বিএনপি নেতারা বলেন, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আন্দোলন-কর্মসূচির চাপ না থাকলেও আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চ্যালেঞ্জ মনে করছেন তারা।

সেজন্য নানা কৌশলে এগোচ্ছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বারবার বলা হয়েছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা ও নির্বাচনী
রোডম্যাপ ঘোষণা এ দুই ইস্যুতে মাঠের কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে দলটি। তারা রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কার ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া দুটিই সমান্তরালভাবে চালানোর পক্ষে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, আমি যে উদ্দেশে লন্ডনে গিয়েছিলাম, সেটা সফল হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, আপনারা (দেশবাসী) ধৈর্য ধরেন। একটা বিশাল বিজয় এসেছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। এ বিজয়কে ফলপ্রসূ ও সার্থক করতে হলে অবশ্যই সবাইকে ধৈর্য ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্রের যে প্রথম পদক্ষেপ, সেই নির্বাচনের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক। আর এ লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে সফল আলোচনা হয়েছে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪
টিএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।