লালমনিরহাট: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ৫৩ বছর স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বার বার আমাদেরকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে আমাদেরকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় গেছে। ইসলামী দলগুলোকে পরগাছা হিসেবে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতার মসনদে বসেছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতেরই সরকার ছিল। প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা যখন ভারত গিয়েছিল, তখন ভারত সরকার তাকে সম্বোধন করেছিল মুখ্যমন্ত্রী বলে। তিনি তো মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এ কারণে শেখ হাসিনা বলেছিল ভারতকে যা দিয়েছি তা কখনই ভুলতে পারবে না। দিয়েছে তো সবই তবে ভারত থেকে কি এনেছিলেন, এটা বাংলার মানুষ জানতে চায়। কিছুই আনতে পারে নাই। দালাল কখনই কিছু আনতে পারে না। আওয়ামী লীগ ভারতের দালাল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিদায়ের পরে সাধারণ মানুষদের নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সংখ্যালঘুদের মন্দির ও বাসা বাড়ি পাহারা দিয়েছে। অন্য একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা লুটপাটের মেতে উঠেছে।
জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস তুলে ধরে সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, রংপুরের সন্তান আবু সাইদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে বুক পেতে দিয়েছিল। আর স্বাধীন বাংলার প্রশাসন সেই মেধাবী ছাত্রের ওপর গুলি চালিয়ে বুক ঝাঁজরা করে দিয়েছে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল সেই মেধাবী আবু সাঈদ। এ দৃশ্য দেখে গোটা দেশের মানুষের হৃদয়কে নাড়া দিয়েছিল। ঠিক সেই সময় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ব্যানার নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিল ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে। তখন অন্য কোনো রাজনৈতিক দল সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার সাহস পর্যন্ত পায়নি। আমরা বরাবরেই অন্যায় বিরুদ্ধে কথা বলি।
লালমনিরহাটের মাটি ইসলামী আন্দোলনের ঘাঁটি দাবি করে আগামী দিনে হাতপাখা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা অ্যাডভোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুর রহমান কাসেমী, লালমনিরহাট জেলা শাখার সহ সভাপতি শাইখুল হাদিস মুফতি ফজলুল করীম শাহারিয়ার, সেক্রেটারি মুহাম্মদ মোকছেদুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
এসএএইচ