টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের আটজন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। ডেভিল হান্ট অপারেশনের অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকদের জেলার বিভিন্ন থানায় আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে আসামি দেখিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আটক আওয়ামী লীগ নেতাদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, বাসাইল থানা ও মির্জাপুর থানা পুলিশের সমন্বয়ে বাসাইল এসআরপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জুকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। রঞ্জু বাসাইল পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও এলাসিন ইউপি চেয়ারম্যান মানিক রতন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার তারিকুল ইসলাম সেন্টু এবং দেলদুয়ার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শরীফ হোসেনকে আটক করে।
গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও ঝাওয়াইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থক অমল চন্দ্র বসাক। মির্জাপুর উপজেলার লতিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও সার ব্যবসায়ী আব্দুল করিম মিয়াকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ঘাটাইলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের একজন নেতাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন থানায় আরো ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, দুই থানার যৌথ অভিযানে রঞ্জুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে মির্জাপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোয়েব আহম্মেদ জানান, অভিযানে আওয়ামী লীগের তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযানে জেলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৬ ঘণ্টা, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
জেএইচ