ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ শাবান ১৪৪৬

রাজনীতি

‘সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করলে মেনে নেবে না জনগণ’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
‘সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করলে মেনে নেবে না জনগণ’ বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

যশোর: অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো কলাকৌশল করবেন না। দল করার খায়েশ থাকলে সরকার থেকে পদত্যাগ করুন।

নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসুন। কিন্তু, সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করলে তা এদেশের জনগণ মেনে নেবে না।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) যশোর টাউন হল ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

যত দ্রুত নির্বাচন হবে, তত দ্রুত দেশে শান্তি আসবে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কারের আগে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কথার মধ্যে মানুষ কিন্তু অন্য কিছুর গন্ধ পাচ্ছে। এর আগে মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনরাও ষড়যন্ত্র করেছিলেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছিল দেশবাসী। এবারও একই ষড়যন্ত্র হলে এদেশের মানুষ মেনে নেবে না। গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে বিএনপি রাজপথে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত। ফ্যাসিস্ট পালিয়ে গেলেও তার দোসররা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। ঘুষের রেট বেড়ে গেছে। কিন্তু, সেদিকে সরকারের খেয়াল নেই। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। সংস্কার যা করার তা নির্বাচিত সরকার করবে। কারণ, সংস্কারের মালিক জনগণ। সংসদে তাদের প্রতিনিধি না থাকলে সেই সংস্কার করবে কে?

স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আগে অনুষ্ঠিত করার যে আলোচনা চলছে তার সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হলে গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকজন মাথাচাড়া দেবে। তারা মেম্বার, চেয়ারম্যান হতে চাইবে। সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।

অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি আমাদের গর্ব। বিচক্ষণ ও সম্মানিত মানুষ। আমরা এখনও আশাবাদী। কেননা ড. ইউনূস বলেছেন, কারা কি প্রস্তাব দিয়েছেন তা ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবেন। এটার মধ্য দিয়ে তিনি যদি ভয় দেখাতে চান তাহলে বক্তব্য স্পষ্ট, বিএনপিকে ভয় দেখাবেন না। বিএনপি রাজপথের দল, গণমানুষের দল। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথেই থাকবে।  

যশোর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, কেন্দ্রীয় নেতা চমন আরা, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আবুল ইসলাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার টিএস আয়ূব, ফিরোজা বুলবুল কলি, সাবিরা নাজনিন মুন্নি, মিজানুর রহমান খান ও মারুফুল ইসলাম।

সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, পাটকলসহ যশোরের বন্ধ সব কলকারখানা খুলে দেওয়া হবে, ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।