ঢাকা, রবিবার, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ শাবান ১৪৪৬

রাজনীতি

গোপালগঞ্জে ১৯ বছর পর বিএনপির সমাবেশ, ব্যাপক প্রস্তুতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
গোপালগঞ্জে ১৯ বছর পর বিএনপির সমাবেশ, ব্যাপক প্রস্তুতি বিএনপির সমাবেশ ঘিরে শহরে তোরণ নির্মাণ

গোপালগঞ্জ: দীর্ঘ ১৯ বছর পর আগামীকাল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত গোপালগঞ্জে সমাবেশ করবে বিএনপি। সমাবেশে জনসমাগম ঘটাতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দলটি।

 

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ, আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি ও নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে সারাদেশে এ সমাবেশ আহ্বান করা হয়।

সমাবেশকে সফল করতে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। এ সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানানো হবে। সমাবেশে শ্রীবৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে জেলার আনাচে-কানাচে।

ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৬ সালের পর গোপালগঞ্জে আর কোনো জনসভা করতে পারেনি দলটি। দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছর পর গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে আগামীকাল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন ও প্রধান বক্তা হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক  (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ উপস্থিত থাকবেন।  

এছাড়া কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ফরিদপুর বিভাগীয় সহসংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি এসএম জিলানীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান।

সমাবেশ ঘিরে স্থানীয় পৌরপার্কে প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। গোপালগঞ্জ শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানো এবং সড়কে সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। সমাবেশ সফল ও রেকর্ড সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন দফায় দফায় প্রস্তুতিমূলক সভা, প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছেন।

জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম জিয়াউল কবীর বিপ্লব জানিয়েছেন, গত ১৯ বছর আমরা প্রকাশ্যে সমাবেশ করতে পারিনি। দীর্ঘ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সমাবেশের মাধ্যমে জেলার নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবেন।  

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক বলেন, গত ১৯ বছর ধরে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার গোপালগঞ্জসহ সারা বাংলাদেশে অত্যাচার করেছিল। মানুষ সেসময় প্রাণ খুলে কথা বলার সাহস পায়নি। সেই কারণে বিএনপি কোনো জনসভা করতে পারেনি। দলের নেতাকর্মীরা হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর উন্মুক্ত পরিবেশে পৌরপার্ক মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।  

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকউজ্জামান বলেন, গত ১৯ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের গোপালগঞ্জে স্বাধীনভাবে একটি কর্মসূচিও পালন করতে দেয়নি। বিগত সময় জাতীয়তাবাদী ধারার সমর্থকরা ভয়ে আত্মপ্রকাশ করতে পারেনি বা কোনো কর্মসূচি করতে পারেনি।

ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর এখন আর কোনো ভয় নেই। যেহেতু এখন একটি মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এটি একটি জাতীয় রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ। তাই ১৯ বছর পর কোনো বাধা ছাড়াই মুক্ত স্বাধীনভাবে বিজয়ের আনন্দে জনসভায় ত্রিশ-চল্লিশ হাজার লোকের সমাগম ঘটবে। আগামীতে গোপালগঞ্জ বিএনপি ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবে ও পালন করবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।