ঢাকা, শুক্রবার, ২১ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৬ রমজান ১৪৪৬

রাজনীতি

রামপালে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৭

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৫
রামপালে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৭ প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের রামপালে ওয়ার্ড-ইউনিয়ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে উপজেলার ঝনঝনিয়া চেয়ারম্যান মোড় এলাকায় রামপাল বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান তুহিন ও সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলামের পক্ষের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

আহতরা হলেন- উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের আল-আমিন, আজমল শেখ, শহিদ ব্যাপারী, আবুল কালাম, বাবুল শেখ, শামীম শেখ, আহম্মদ আলী, ইসমাইল শেখ, আশরাফ আলী, তাহিদুল ইসলাম, হোসাইন শেখ, তারেক শেখ, ফারুক হোসেন, আবুল কালাম, শহিদুল ইসলাম, মাহিদ শেখ ও নজরুল ইসলাম।  

আহতরা রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শহিদুল ইসলাম, মাহিদসহ আটজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রামপাল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান তুহিন আমাদের লোকজনের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। এর জেরে তিনি ও তার লোকজন আমাদের নেতা-কর্মীদের হুমকিও দিয়েছেন। সকালে তার লোক আশা, মনা, মিশকাত ও ছাত্রদল নেতা আবু তালেব চেয়ারম্যানের মোড় এলাকায় আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের অন্তত ১৬ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। হামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ক্যাডাররাও অংশ নিয়েছে। হামলায় আহতদের স্বজনরা ছাত্রদল নেতা আবু তালেবের বাবা নজরুল ইসলামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে বলে শুনেছি। ছাত্রদল নেতা আবু তালেব এখনও আমাকে মারধরের হুমকি দিচ্ছেন। পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ’   

সংঘর্ষের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা আবু তালেবের বাবাকে মারধর করেছে একটি পক্ষ। এই নিয়ে মূলত ঝামেলা তৈরি হয়েছে। রামপাল উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হালিম পাটোয়ারি ও সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলামের লোকজন এই মারধর করেছে। আমি পুলিশকে জানিয়েছি এবং নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি। ’

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছ। মামলা বা অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বছরের ০৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির নিজ দলের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন শুরু হলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়। কমিটি গঠন নিয়ে গত তিন মাসে বিএনপির নিজ দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জন আহত ও দুজন নিহত হয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।