ঢাকা, রবিবার, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৮ রমজান ১৪৪৬

রাজনীতি

নারী-শিশুর ওপর সহিংসতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: সিপিবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৫
নারী-শিশুর ওপর সহিংসতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: সিপিবি

ঢাকা: নারী ও শিশুর ওপর অব্যাহত সহিংসতার দায় অন্তর্বর্তী সরকার এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।

শনিবার (৮ মার্চ) পুরানা পল্টন মোড়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় নারী সেলের উদ্যোগে সমাবেশ থেকে এ কথা বলা হয়।

সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড লক্ষ্মী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় সম্পাদক কমরেড লুনা নূর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. মাকসুদা আক্তার লাইলী।

সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড লাকী আক্তার। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড মিহির ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ ডা. ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড জলি তালুকদার, মনিরা বেগম অনুসহ কমরেডগণ।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বাংলাদেশের নারীরা এবং প্রগতিশীল সমাজ বর্তমানে এক ভয়াবহ দুঃসময় পার করছে। নারী বিদ্বেষ, নারীর প্রতি সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে। সারাদেশে অব্যাহত নারী, শিশু ধর্ষণ ও নিপীড়ন চলছে তার দায় অন্তর্বর্তী সরকার এড়াতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, নারীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো, নারীর উপর সহিংসতা ও আক্রমণ চলছে, যা গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা যে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, মানবিক, শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে চেয়েছিলাম, তাকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। সমাজে নারীর অধিকার নিশ্চিত করা এবং সব কাজে সমান সুযোগ ও সমান মজুরি ছাড়া দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করা যাবে না।

লুনা নূর বলেন, আমরা ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করছি, নারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সর্বত্র নারী বিদ্বেষ এবং একের পর এক আক্রমণের ঘটনা ঘটছে, যা জননিরাপত্তার জন্য খুবই উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে সরকারের জোরালো কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। পাহাড়ে এবং সমতলে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

অ্যাডভোকেট মাকসুদা আক্তার লাইলী বলেন, বিদ্যমান আইনি কাঠামোতে নারীর সমঅধিকার চরমভাবে অবহেলিত। রাষ্ট্রে বিচারহীনতা ও জবাবদিহীতার অভাব, সর্বোপরি গণতন্ত্রহীনতার কারণে নারী-নির্যাতন-শোষণ ক্রমাগত বেড়েই চলে। এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে কমরেড লক্ষ্মী চক্রবর্তী বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস মানে নারী শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। নারী দিবসের শতবর্ষ পরে এসেও নারীর সামগ্রিক মুক্তি অর্জিত হয়নি। পুঁজিবাদ নারীকে পণ্যে পরিণত করে তার মুনাফা অর্জনের জন্য নারী অধস্তনতা, নারী নির্যাতন এবং বৈষম্যের সকল উপাদানকে টিকিয়ে রেখেছে। তাই কাজেই নারীমুক্তির মূল শত্রু পুঁজিবাদকে রুখে দেয়ার মধ্য দিয়ে নারীমুক্তির লড়াইকে বেগবান করতে হবে। নারীমুক্তির লড়াই একটি রাজনৈতিক লড়াই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৫
আরকেআর/জেএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।