ঢাকা, সোমবার, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৯ রমজান ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রশাসন ঠিক থাকলে ধর্ষণ-খুন হতো না: রিজভী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৫
প্রশাসন ঠিক থাকলে ধর্ষণ-খুন হতো না: রিজভী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

ঢাকা: দ্রুততম সময়ের মধ্যেই মাগুরায় শিশু ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রশাসন ঠিক থাকলে সমাজে ধর্ষণ, খুনের মতো ঘটনা হতো না। এখন তো অন্তবর্তী সরকার, স্বৈরাচার তো নাই; তাহলে কেন এসব ঘটনা ঘটছে? প্রশাসনে কারা? আমরা অনেক বারই বলেছি—কোনোদিনই সমাজে ধর্ষণ, খুন, জখম, দুর্নীতির প্রসার ঘটবে না, যদি আপনার প্রশাসন ঠিক হয়।

প্রশাসন ঠিক থাকতো তাহলে এটি হতো না।

সোমবার (১০ মার্চ) সকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিবাদ র‌্যালির আগে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যদি মাগুরার শিশুর ওপর জুলুমকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, যে দৃষ্টান্ত দেখে অন্যান্য অপরাধীরা, অন্যান্য ধর্ষকরা, অন্যান্য দস্যুরা তাদের হৃদয়ে হৃদকম্পন তৈরি হয়। আর এটাই হচ্ছে আইনের শাসন, এটার জন্যই ১৫ বছর আমরা লড়াই করেছি। এর জন্য এত আত্মত্যাগ, এর জন্য আরেক দস্যু শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে ধর্ষণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। আজকে নারীরা নিরাপদ নয়। আজকে আপনার মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে তার প্রত্যাবর্তন কীভাবে হবে, ক্ষত-বিক্ষত হয়ে বাসায় ফিরবে না স্বাভাবিকভাবে বাসায় ফিরবে, তার কোনো নিরাপত্তা নাই।

প্রশাসন ঠিক থাকলে সমাজে ধর্ষণ, খুনের মতো ঘটনা ঘটতো না জানিয়ে রিজভী বলেন, এখন তো অন্তবর্তী সরকার, স্বৈরাচার তো নাই; তাহলে কেন এসব ঘটনা ঘটছে? প্রশাসনে কারা? আমরা অনেক বারই বলেছি—কোনোদিনই সমাজে ধর্ষণ, খুন, জখম, দুর্নীতির প্রসার ঘটবে না, যদি আপনার প্রশাসন ঠিক হয়। প্রশাসন ঠিক থাকতো তাহলে এটি হতো না।

তিনি বলেন, অনেকে বঞ্চিত ছিলেন শেখ হাসিনার আমলে। অনেক প্রমোশন পেয়েছেন, ডাবল প্রমোশন হয়েছেন। তাহলে আপনাদের মধ্যে যে ক্ষোভ ছিল, সেই ক্ষোভ থাকার কথা নয়। তাহলে তৃণমূলে প্রশাসনের কর্তৃত্ব প্রয়োগ হচ্ছে না কেন? এটা তো একটা বড় প্রশ্ন। এর দায় তো যাবে অন্তবর্তীকালীন সরকারের ওপরে।

তিনি বলেন, সবাইকে আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে হবে। সেখানে গণতন্ত্রমনা মানুষ, রাজনৈতিক দল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা, ছাত্র সংগঠনসহ সবাইকে একত্রিত হয়ে এই কাজ করতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর আইনি দায়িত্ব নিয়েছেন জানিয়ে রিজভী বলেন, তার জন্য সমস্ত আইনি দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঘটনার পর দ্রুত গতিতে নারী নেত্রীদের হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারকে বলব, আপনারা এর বিচার করুন, আমরা এর বিচার চাই। ভিকটিম শিশুর বোনের শাশুড়িরও বিচার চাই। এই শাশুড়ি একজন নারী, এরা নারী নামের কলঙ্ক। এই কতিপয় নারীর জন্য আমরা নারী সমাজ অপমানিত হচ্ছি। সুতরাং আমি মনে করি, এই নারীকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো দরকার। তার বোনের স্বামী ও শ্বশুরে ফাঁসি চাই।

সারা দেশের জনগণের সামনে মাগুরার ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুত বিচার করুন। গত কয়েকদিনে আরও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মাগুরার ঘটনার বিচার অনতিবিলম্বে করতে হবে। তা না হলে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই যাবে। আমি আশা করব, বাংলাদেশে মাগুরাসহ সারা দেশের জনগণের সামনে এই মাগুরার ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর করা হোক। আমরা জেলখানায় এর বিচার চাই না, আমরা জনসমক্ষে এর বিচার চাই।

মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর নার্গিসের সঞ্চালনায় সমাবেশে মহিলা দলের সহ-সভাপতি নেওয়াজ হালিমা আরলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহানা আখতার শানু, মহানগর উত্তরের সভানেত্রী রুমা আখতার, দক্ষিণের সদস্যসচিব লুনা লায়লা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৫
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।