ঢাকা, শুক্রবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ মার্চ ২০২৫, ২০ রমজান ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের মিছিল

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৫
আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের মিছিল ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জুলাই গণহত্যা জড়িত থাকায় অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে একাধিক সংগঠন। মিছিল থেকে তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যও প্রত্যাহার চেয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা-কর্মীরা। তারা আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীক দ্রুত নিষিদ্ধের দাবি জানান। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এসে সমাবেশ করেন।

একই সময়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ও সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা চালানোর প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করে ইনকিলাব মঞ্চ। জুমার নামাজের পর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিল শুরু করে। মিছিল থেকে তারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন রুখে দেওয়ার আহ্বান জানায়।

বিকেল সাড়ে ৩টায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে মিছিল করেন একদল শিক্ষার্থী। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সামনে থেকে তারা জড়ো হয়ে বিভিন্ন হল প্রদক্ষিণ করে টিএসসিতে আসেন। সেখানে তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিক্ষোভ মিছিলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহিদ আহসান বলেন, আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি হবে না। সংস্কার আওয়ামী লীগ নামে কিছু হয় না। বাংলাদেশকে আমরা আরও একটি গণহত্যার দিকে ঠেলে দিতে পারি না। নামে-বেনামে আওয়ামী লীগ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে। সেটা যেখান থেকেই হোক, এর বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে।

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র আশরেফা খাতুন বলে, আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্টের পর ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু সেটি হয়নি। আমরা আগস্টে যেভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিলাম, এখনো তেমনই আছি। যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হয়, ততদিন আমরা মাঠে থাকব।

তিনি বলেন, ভালো আওয়ামী লীগ বলে কাদের বোঝানো হচ্ছে? যারা গণহত্যায় সরাসরি ছিল না, তারা মাঠে ছিল না। অথচ আমরা যখন গুলির সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছি, তখন একটা ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাও মুখ খোলেননি। তাদের রিফাইন্ড করে আওয়ামী লীগ ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই।

বিক্ষোভ মিছিলের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনতে চাইলে বাংলাদেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। আমাদের দেহে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দেব না। আওয়ামী লীগ মানেই খুনি।

হাদী বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দিলে আড়াই থেকে তিন বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতাহীন থাকবে। তারপর ভারতের সাহায্যে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা নিয়ে নেবে। এরপর দেশে আবার নারকীয় তাণ্ডব চালাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৫
এফএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।