জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আমরা প্রতিযোগী না হয়ে যদি প্রতিপক্ষ হই, তাহলে ক্ষতি যেমন আমাদের আন্তঃদলীয় হবে, তেমনই ক্ষতি পঞ্চগড় জেলার হবে। তাই সে জায়গা থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।
শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড় পৌর বিএনপির আয়োজনে সরকারি অডিটোরিয়ামের মুক্তমঞ্চে ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস বলেন, আমরা এই তরুণ প্রজন্ম বিশ্বাস করি, যদি আমরা আমাদের জেলা পঞ্চগড়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে আজকে যেমন সৌভাগ্যপূর্ণ পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধপূর্ণ একটি সম্পর্কের ভিত্তিতে এখানে উপস্থিত হয়েছি। তাই এটা এই জায়গা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জায়গায় বিরাজমান থাকতে হবে। যদি থাকে, দিন শেষে এটা পঞ্চগড়ের জন্য ভালো। আর সেটা আমাদের সবার জন্য ভালো।
একইসঙ্গে আমাদের সবাইকে প্রত্যেকটি কাজের আগে খুনি শেখ হাসিনার বিগত ১৬ বছরের কার্যক্রম ও গণঅভ্যুত্থান মনের ভেতর রাখতে হবে। সেই ইতিহাস সঠিক পথের দিকে নিয়ে যাবে, বলেন তিনি।
সারজিস বলেন, বাংলাদেশের একদম প্রত্যন্ত পিছিয়ে পড়া যে কয়েকটি জেলা, তার মধ্যে পঞ্চগড় একটি। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারি, তাহলে এই পঞ্চগড়কে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিণত করতে পারব। এবং আমাদের মধ্যে সেই শ্রদ্ধাবোধের সম্পর্কটুকু যেন সবসময় থাকে।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, এই বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন, একইসঙ্গে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন সেই শহীদদের ধারণ করে এবং আগামীতে তরুণদের যে চিন্তা-চেতনা রয়েছে, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ- মানবিক বাংলাদেশ গড়ায়। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে এবং আমরা আমাদের অবস্থান থেকে পঞ্চগড়কে এগিয়ে নিয়ে যাব।
পঞ্চগড় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও পঞ্চগড় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন রনিকের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইনসহ দলের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৫
এএটি