ঢাকা, সোমবার, ৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘নববর্ষের আয়োজন থেকে ফ্যাসিবাদের চাপিয়ে দেওয়া অনুষঙ্গ বাদ দিতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৫
‘নববর্ষের আয়োজন থেকে ফ্যাসিবাদের চাপিয়ে দেওয়া অনুষঙ্গ বাদ দিতে হবে’

ঢাকা: বাংলা বর্ষবরণে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে পতিত ফ্যাসিবাদের চাপিয়ে দেওয়া হিন্দুত্ববাদী প্রতিক, ধারণা ও অনুষঙ্গ অবশ্যই বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আান্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।  

বুধবার (৯ এপ্রিল) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি জানান।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, পহেলা বৈশাখ ঋতু সম্পর্কিত একটি বিষয়। এই অঞ্চলের মানুষের কৃষিকাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিয়েশাদীসহ অনেক কিছুই ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত। সেজন্য সম্রাট আকবর ইসলামী বর্ষপঞ্জিকাকে ভিত্তি ধরে সৌরবর্ষ গণনার জন্য বাংলাসন প্রবর্তন করেছিলেন। এই সনের প্রবর্তনের সঙ্গে মুসলমানদের ইতিহাস-ঐতিহ্য জড়িত। একইসঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষ হাজার বছর ধরে মুসলমান হওয়ার কারণে তাদের আচার-প্রথা ও সংস্কৃতিতে ইসলামবিরোধী কোনো কিছুর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। তাই বাংলা নববর্ষ উদযাপনের কোনো আয়োজনে ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকা যাবে না।

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, নববর্ষের দিন মানুষ শালীনতা ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সমর্থিত পন্থায় নানা আয়োজন করতেই পারে। কিন্তু সেইদিন কোনো যাত্রা করলে তাতে ‘মঙ্গল’ হবে এমন বিশ্বাস করলে বা ধারণা করলে পরিষ্কারভাবে তা গুনাহের দিকে নিয়ে যাবে। তাই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে কোনো কিছু অবশ্যই করা যাবে না। ‘মঙ্গল’ শব্দ ও ধারণা অবশ্যই বাদ দিতে হবে।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই অঞ্চলের মুসলিমদের স্বার্থেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ইতিহাসের সেই বাস্তবতা মাথায় রেখে নববর্ষের আয়োজন থেকে ‘মঙ্গল’ শব্দ ও ধারণা বাদ দিন। একইসঙ্গে নববর্ষের আয়োজনে মূর্তিসহ ইসলাম অসমর্থিত সব কিছু বাদ দিন। বরং এদেশের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে বিবেচনা করে ইসলাম সমর্থিত ধারণা ও উপকরণ ব্যবহার করুন।

সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদের চাপিয়ে দেওয়া সংস্কৃতি যদি অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতেও জারি থাকে তাহলে শহীদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করা হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তা হতে দেবে না। তাই নববর্ষের সব আয়োজন থেকে পতিত ফ্যাসিবাদের চাপিয়ে দেওয়া হিন্দুত্ববাদী প্রতীক, ধারণা ও অনুষঙ্গ বাদ দিতেই হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৫
আরকেআর/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।