বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়ায় চাঁদামুক্ত তরমুজ বেচা-কেনা নিশ্চিত করতে চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বিএনপি নেতা খান মনিরুল ইসলাম।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চরশোনাকুর গ্রামে তরমুজ ক্ষেত ঘুরে তিনি এ সভা করেন।
এসময় কচুয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজরা আছাদুর ইসলাম পান্না, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন, মঘিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান লাল ও তরমুজ চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষকরা জানান, প্রতি মৌসুমে তরমুজ বিক্রিকে কেন্দ্র করে এলাকায় অনেক টাকার লেনদেন হয়। এজন্য কিছু অসাধু লোক বিভিন্ন সময় চাঁদা নিয়েছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এখনও চাঁদাবাজি শুরু হয়নি।
কৃষক ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খান মনিরুল ইসলাম বলেন, তরমুজ চাষ, বিক্রি ও পরিবহন সেক্টরে ব্যাপক চাঁদাবাজি হতো চরশোনাকুরসহ বিভিন্ন এলাকায়। ফ্যাসিবাদ দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে, নতুন বাংলাদেশে আমরা চাঁদামুক্ত ব্যবসা নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য মাঠে এসে চাষিদের সঙ্গে কথা বলেছি। কেউ যদি কোনো অনৈতিক সুবিধা চায়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় নেতাদের জানাতে অনুরোধ করেছি। আশা করি, এ এলাকায় তরমুজের ব্যবসায় চাঁদাবাজি হবে না।
বিএনপি নেতাদের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয় কৃষক, শ্রমিক ও তরমুজ ব্যবসায়ীরা। চরশোনাকুর গ্রামের কৃষক আজিজুল বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের এ মাঠে তরমুজ উৎপাদন হয়। কিন্তু বিগত দিনে দেখা গেছে, চাষি, ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকদের জিম্মি করে চাঁদা নেওয়া হতো। তবে এবার এখনও কারও কাছে কেউ চাঁদা দাবি করেনি। বিএনপির নেতারা আসায় আরও ভালো হয়েছে। কেউ চাঁদা চাইলে জানাতে পারব।
আব্দুর রহিম নামে আরেক কৃষক বলেন, বিএনপির নেতারা মাঠে এসে আমাদের সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। কাউকে কোনো টাকা দিতে নিষেধ করেছেন, কম দামে ক্ষেত ধরে তরমুজ বিক্রিতে জোরজবরদস্তি করলে জানাতে বলেছেন। এতে আর চাঁদাবাজরা সাহস পাবে না। পাশাপাশি কৃষকরা উপযুক্ত দাম পাবে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে প্রায় ২০০ একর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ৬৮ শতকের প্রতি বিঘায় গড়ে হাজার-১২০০ তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমির তরমুজ বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৫
এসআই