গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- উপজেলার ছাপড়রহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাজমুল মাস্টার, তার ভাই একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সদস্য মো. বাঁধন মিয়া।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ তিনজনকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের মণ্ডলের হাটে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন- উপজেলার ছাপড়রহাটি
ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যু্বদলের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, ছাড়রহাটি ইউনিয়ন বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলম কিবরিয়া মির্জা, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আলম মিয়া ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব। তাদের মধ্যে গোলম কিবরিয়া মির্জাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ছাপড়হাটি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শফিকুল ইসলাম মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় সড়ক ঘেঁষে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাবুর ওষুধের দোকানের সামনে থাকা বসার বেঞ্চে থাক্কা লাগে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় বাবুর ভাই আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল মাস্টার ও মঞ্জুরুল ইসলামসহ তাদের লোকজন শফিকুলের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেন। পরে শফিকুল পাশের আলম ডাক্তারের দোকানে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানেও হামলা করেন তারা। খবর পেয়ে পাশেই দলীয় কার্যালয় থেকে যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মী শফিকুলকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এতে বিএনপি ও যুবদলের পাঁচ নেতাকর্মীসহ অন্তত ছয়জন আহত হন।
পরে বিএনপি ও এর অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাবুর দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং নাজমুল ও তার ভাই মঞ্জুরুলসহ তিনজনকে আটক করে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৫
এসআই