যশোর: যশোর সদর উপজেলায় রূপদিয়া মধ্যপাড়ায় সন্ত্রাসীদের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার ১৪টি বাড়ি-ঘর পরিদর্শন করেছেন বিএনপি নেতারা।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের চাল ও নগদ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকনের নেতৃত্বে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলার শিকার নারীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ প্রায় দুই ঘণ্টা তারা ১৪টি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। তাদের লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন নারী রক্তাক্ত জখম হয়েছেন।
হামলাকারীরা ঘরগুলোতে থাকা ফ্রিজ, টিভি ভাঙচুর এবং কয়েক লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাও লুট করেন বলে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ।
ভুক্তভোগীরা বলেন, জামায়াত নেতা হিসেবে পরিচিত স্থানীয় প্রভাবশালী খবির খাঁ ও তার লোকজন এখনো তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলছেন। না হলে তাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন। যে কোনো সময় আবারও হামলার শিকার হতে পারেন বলে আতঙ্কের মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন তারা।
বিএনপি নেতা আঞ্জুরুল হক খোকন ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বস্ত করে বলেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নির্দেশে আমরা আপনাদের দেখতে এসেছি। বিএনপি আপনাদের পাশে আছে। আতঙ্কিত হবেন না।
যারা এ হামলার জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে যাতে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সে জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আশরাফুজ্জামান মিঠু, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম এবং সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে রূপদিয়ার মধ্যপাড়ায় ১৪টি বাড়ি-ঘরে সন্ত্রাসীরা নির্বিচারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল ৪০ থেকে ৫০ জন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইজিবাইক চালক মিলন হোসেন বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারে রূপদিয়ার খবির খাঁ, জাহিদ আলী, রমজান আলী, সাদ্দাম হোসেন, জুবায়ের হোসেন, আসলামসহ অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৫
জেএইচ