ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ মে ২০২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

সাম্য হত্যার বিচার না পেলে দেশ অচল করে দেব: ছাত্রদল সভাপতি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২৩, মে ২০, ২০২৫
সাম্য হত্যার বিচার না পেলে দেশ অচল করে দেব: ছাত্রদল সভাপতি শাহবাগ মোড়ে অবরোধ কর্মূসচি চলাকালে ছাত্রদলের সমাবেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার না পেলে সারা দেশ অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, সাম্য হত্যার বিচার না পেলে আমরা ঢাকা অচল করে দেব। সারা দেশ অচল করে দেব। আমরা সরকারকে সময় দিচ্ছি। দ্রুত প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করুন।

তিনি বলেন, আমরা সাতদিন ধরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। এরপর কোনো অশান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে হলে এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।

এর আগে বিকেল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এতে শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শাহবাগে আয়োজিত সমাবেশে নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ এবং সাম্য হত্যার প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিব বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা সাম্যের প্রকৃত খুনি কি না, তা আমরা জানি না। সরকার আমাদের আশ্বস্ত করতে পারছে না।

তিনি বলেন, সাম্য-পারভেজ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং সারা দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। অবস্থা খুব নাজুক।

রাকিব বলেন, জুলাই-আগস্টের সুবিধাভোগী যারা সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন, তাদের সংগঠন রয়েছে; তারা আজ পর্যন্ত সাম্য হত্যার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায়ও দুঃখ প্রকাশ করেনি। আমরা তাদের ধিক্কার জানাই। যারা পারভেজ-সাম্য হত্যার পর সামান্য সহানুভূতি প্রদর্শন করে না, তাদের প্রতি আমরা কোনো সহানুভূতি প্রদর্শন করব না।

সমাবেশে সাম্যের হত্যাকাণ্ডের পর ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ পরিচয়ে গুপ্ত সংগঠনের নেতাকর্মীরা নেতিবাচক বয়ান তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।

সাম্য হত্যার পর ১৪ মে হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক প্রকাশ করে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ছাত্রশিবির। এই বিবৃতির প্রতি ইঙ্গিত করে তা ‘ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান’ করেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, সাম্য হত্যার পর আপনারা তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছে, এসব প্রশ্ন করছেন। সাগর-রুনি হত্যার পর খুনি হাসিনা যেমন বলেছিল ‘বেডরুমে পাহারা দেওয়া সরকারের কাজ নয়’, তেমনি একদল ফিতা মেপে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ব্যর্থ প্রশাসন সিসিটিভি থেকে কোনো আলামত সংগ্রহ করতে পারেনি। যারা ফিতা মেপে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতামুক্ত রেখে) দায়-দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাইছেন, সেই উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছি।

প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর বিকেল পৌনে ৫টায় রাজধানীর শাহবাগ মোড় ছেড়ে দেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।

এফএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।