রাজনৈতিক দল ও জনমনে স্বস্তি তৈরব করতে জুলাই ঘোষণাপত্র, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানান দলটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। একটি গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের (এনসিপি) প্রত্যাশা ছিল বা আছে, যে গণঅভ্যুত্থানে আকাঙ্ক্ষা বিচার ও সংস্কার এবং পরবর্তীতে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর অর্থাৎ নির্বাচনের দিকে বাংলাদেশ যাবে।
এই অন্তর্বর্তী সরকার কি শুধুই নির্বাচনকালীন সরকার নাকি গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকার প্রশ্ন রেখে তিনি আরো বলেন, আমরা (এনসিপি) মনে করি এই অন্তর্বর্তী সরকার একটি গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছে। ফলে তার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দায়বদ্ধতা রয়েছে। শুধু নির্বাচন আয়োজন নয়, বরং জুলাই গণহত্যাসহ বিগত আমলের অপরাধসমূহের বিচার এবং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের মধ্য দিয়েই সরকারকে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে৷ আমাদের প্রত্যাশা বা আহ্বান থাকবে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব থেকেই রাজনৈতিকভাবে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমাধানের দিকে যাবেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা (এনসিপি) মনে করি জুলাই ঘোষণাপত্রের যে নির্ধারিত সময় দেওয়া হয়েছিল, সময় কিন্তু এগুচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা উচিত। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে প্রকাশ করা উচিত। তাহলে জনমনে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর স্বস্তি ও আস্থার জায়গা তৈরি হবে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জুলাই ঘোষণাপত্র, বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে ঘোষণা করা। এবং সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু সমাধানের দিকে যাওয়া। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনগণের প্রত্যেককে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের কথা ভেবে সকলের সেই দায়িত্বশীল আচরণ করবো আমরা এবং আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানের দিকে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এসসি/এসএএইচ