ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম কারামুক্তি পেয়েছেন। তাকে বরণ করতে রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ করেছে জামায়াত।
বুধবার (২৮ মে) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আজহারকে কারামুক্তি দেওয়া হয়। তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) তত্ত্বাবধানে শাহবাগে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
তার কারামুক্তির খবরে ভোর থেকেই দলটির নেতা-কর্মীরা শাহবাগ এলাকায় জড়ো হন। আজহারকে বরণে শাহবাগ মোড়ে একটি সংক্ষিপ্ত সভার আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী। আজহার কারামুক্তি পেয়ে ওই সভার মঞ্চে যান। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন এবং তার কারামুক্তির ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের পথ উন্মুক্ত করায় জুলাই শহীদদের স্মরণ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, জামায়াতের নেতাকর্মীদের সমাবেশের কারণে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংক্ষিপ্ত সভা শেষ হলে ১০টা ১৫ মিনিটের পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সংক্ষিপ্ত এ সভায় মঞ্চে দেখা যায় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রমুখ নেতাদের।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল মঞ্জুর করে তাকে খালাসের রায় দেন।
রায়ে সর্বোচ্চ আদালত ২০১৪ সালে এ টি এম আজহারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া আগের রায় বাতিল ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতেও বলা হয়।
২০১২ সালে ঢাকার মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন জামায়াতের তখনকার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম। তখন থেকেই তিনি কারাবন্দি ছিলেন।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজহারকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়। এর কিছুদিন পর তাকে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেলেন এ টি এম আজহারুল
এমএমআই/এইচএ/