ঢাকা: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে চলমান বিষয়ভিত্তিক সংলাপের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৩ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপির প্রতিনিধিদল।
সংলাপে বিরতি চলাকালীন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনোভাবেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হোক চাই না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো নিয়েও স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরে বিএনপির এ নেতা বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত হবে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে, এমন বিধান রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলো নিয়ে কমিশনের প্রস্তাব সম্পর্কেও মত দেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, তাদের প্রস্তাবনা ছিল সব স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বিরোধী দলের হবে। এটা বাস্তবতা বহির্ভূত। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বিরোধী দলের পক্ষ থেকে হতে পারে, কিন্তু সবাই যদি বিরোধী দল থেকে হয়, তবে সরকার তার কার্য পরিচালনা করতে সবসময় বাধাগ্রস্ত হবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষে গঠিত এ কমিশন ঈদের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনায় বসছে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং জুলাই মাসে একটি ঐকমত্যভিত্তিক ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশের লক্ষেই ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এ আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, কমিশনের সুপারিশ ছিল-আস্থা ভোট, অর্থবিল ও সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত বিল বাদে বাকি সমস্ত বিষয়ে জাতীয় সংসদের সদস্যরা স্বাধীন থাকবেন। কিন্তু আমাদের দলীয় অবস্থান থেকে আমরা এ তিনটি বিষয় ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়কে এখানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছি।
রাষ্ট্রে যদি কোনো কারণে যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়, তবে জাতীয় সংসদে অবশ্যই এ বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু সরকারি দল নয়, সমস্ত দলকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেই জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে জানিয়ে সালাউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি ছাড়া অন্য দুই বিষয়ে প্রায় সবাই-ই একমত হয়েছেন। কেউ কেউ বিস্তারিত আলাপের জন্য সময় চেয়েছে। এ তিনটা বিষয়ে যদি একমত হওয়া যায় তবে আমরা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টা আলাদাভাবে উপস্থাপন করবো এবং আমাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে এটা থাকবে।
এসবিডব্লিউ/জেএইচ