ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আশা প্রকাশ করেছে যে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সহায়ক হবে।
শুক্রবার (১৩ জুন) এক বিবৃতিতে দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এ মন্তব্য করেছেন।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান জানান, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছিল, এ বৈঠক তা কমাতে সাহায্য করবে। বিএনপিসহ কয়েকটি দল ডিসেম্বর ২০২৫-এ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল, যা নিয়ে রাজনীতিতে উত্তেজনা ছিল। আজকের বৈঠকে তারেক রহমান ডিসেম্বর থেকে সরে এসে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন এবং প্রধান উপদেষ্টাও শর্তসাপেক্ষে এটি বিবেচনার কথা বলেছেন। তিনি এ ঘটনাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে আখ্যা দিয়ে উভয় নেতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র আরও বলেন, আজকের বৈঠকে সংস্কার, বিচার ও জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে নীতিগত সমর্থন পাওয়া গেছে। এটি স্বৈরতন্ত্রমুক্ত আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের পথকে মসৃণ করবে বলে তারা বিশ্বাস করে।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আশা প্রকাশ করেন যে, আজকের বৈঠকের পর রাজনীতিতে বিদ্যমান উত্তেজনা কমে যাবে, অনিশ্চয়তা দূর হবে এবং বৃহত্তর ঐকমত্য তৈরি হবে।
তবে, বৈঠকের পর উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের ‘যৌথ বিবৃতি’ শব্দ প্রয়োগ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
তিনি বলেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের সরকার প্রধান এবং তারেক রহমান একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। তাদের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এটি মূলত সরকার প্রধানের সঙ্গে একজন রাজনৈতিক নেতার সংলাপ। এ সংলাপের পর বারবার ‘যৌথ বিবৃতি’ বলা শোভনীয় নয়, কারণ একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রের ‘যৌথ বিবৃতি’ প্রদান বা একক বিএনপির মতামতের ভিত্তিতে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া শোভনীয় নয়।
ইএসএস/জেএইচ