ঢাকা, শনিবার, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৯ জুলাই ২০২৫, ২৩ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে চান জামায়াতের নেতাকর্মীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৪, জুলাই ১৯, ২০২৫
ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে চান জামায়াতের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে আসা জামায়াতের কয়েকজন নেতাকর্মী। ছবি: বাংলানিউজ

বাংলাদেশকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়তে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির নেতাকর্মীরা মনে করছেন, জনগণের সমর্থন পেলে আগামীতে সরকার গঠন করে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলেও সার্বিকভাবে সন্তুষ্ট বলেও জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত মহাসমাবেশে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন দলের নেতাকর্মীরা। দুপুরের দিকে টিএসসি এলাকায় অনেক নেতাকর্মীকে খাবার বিরতিতে দেখা যায়। সেখানেই কথা হয় তাদের কয়েকজনের সঙ্গে। নেতারা আশা করেন, জামায়াত ইসলামী সরকার গঠন করবে।

লালবাগ থানা ইউনিটের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. শাহীন খান বলেন, সাত দফা দাবিতে আজকের সমাবেশ। আমরা বিশ্বাস করি, এসব দাবি পূরণ হলে দেশের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে। আমরা একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। জনগণ আমাদের ভোট দিলে, ইনশাআল্লাহ জামায়াত সরকার গঠন করবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস চেষ্টা করছেন। যদিও এটি একটি রাজনৈতিক সরকার নয়, তবুও আগের অনেক সরকারের চেয়ে এই সরকার বেশি তৎপর। তবে প্রচলিত রাজনৈতিক বাধা ও চাপের কারণে তিনি প্রত্যাশামতো এগোতে পারছেন না।

নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার কলগাছিয়া চর ধরেশ্বরী ইউনিট থেকে ৪০ নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশে এসেছেন ওই ইউনিটের সভাপতি মো. পলাশ। তিনি বলেন, আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করে জামায়াতে ইসলামী শতভাগ সফল। ইসলামের বাধভাঙা জোয়ার উঠেছে। আমরা আশাবাদী— আগামীতে জামায়াতই জয়ী হবে।

মাগুরার মোহাম্মদপুর থানার বিনোদপুর ইউনিয়ন থেকে ৬৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকায় এসেছেন হাফেজ ক্বারী মাওলানা আবু নাছের শরীফ। তিনি বলেন, রাত ১২টায় বাসে রওনা দিয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকায় পৌঁছেছি। ফজরের আগেই সমাবেশস্থলে ঢুকে পড়ি। শেষ পর্যন্ত থাকবো ইনশাআল্লাহ।

ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জামায়াত ইসলামী মানুষের আস্থা অর্জন করে একদিন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। যেখানে হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না, সবাই ভাইয়ের মতো মিলেমিশে থাকবে। জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতেই রাষ্ট্র পরিচালিত হবে।

এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।