ঢাকা: ২০ দলীয় জোটের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে শান্তিপূর্ণ হরতালে সরকার দলীয় এজেন্টরা সারাদেশে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকলে ৪টা ২০ মিনিটে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের হয়রানী করতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা দেশের জনগণ বুঝতে পেরেছে। মানুষ তাদের ভোটের অধিকার চায়। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। মানুষ তাদের সত্যিকারের আমানত প্রয়োগ করতে চায়।
তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের মনের ভাব বুঝতে পেরে হণ্যে হয়ে গেছে। তারা জোর করে ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য হিংস্র হয়ে ওঠেছে। আর এ হিংস্রতা প্রয়োগ করছে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের ওপর।
ফখরুল বলেন, সরকারি এজেন্টদের এতো অপতৎপরতার মধ্যেও দেশের মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করেছে। সরকারকে মানতে হবে দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার চায়। তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। হরতালের সমর্থনে বের করা মিছিলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ বাহিনী গুলি ছুড়েছে।
মিরপুরে হরতালের সমর্থনে বের করা মিছিলে পুলিশের ছুঁড়া গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী স্বপন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) নিউএইজ পত্রিকা অফিসে পুলিশি হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকার গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চায়। তারা বারবার দেশের মিডিয়া বন্ধ করা নিয়ে ব্যস্ত।
দেশব্যাপী আটক ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইদ আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রোববার (২৭ ডিসেম্বর) গাজীপুরে খালেদা জিয়াকে সমাবেশ করতে না দেওয়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার, দেশব্যাপী ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের খুন, গুম, মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ হরতালের ডাকে ২০ দলীয় জোট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪