ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘গণতন্ত্রের জানাজা পড়া ছাড়া আর কিছু থাকবে না’

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫
‘গণতন্ত্রের জানাজা পড়া ছাড়া আর কিছু থাকবে না’ রুহুল কবির রিজভী আহমেদ

ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন যদি ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের মতো হয় তাহলে গণতন্ত্রের জানাজা পড়া ছাড়া আর কিছু থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে নয়া পল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।


 
রিজভী বলেন, সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচন কমিশন যদি ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌর নির্বাচন করার চেষ্টা করে তাহলে শেষ পর্যন্ত মৃতপ্রায় গণতন্ত্রের জানাজা পড়া ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।

তিনি এও বলেন, পৌর নির্বাচন যদি ৫ জানুয়ারির মতো হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন হবে সব চেয়ে বড় ধান্দাবাজ।

দলের এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ৫ জানুয়ারির অবৈধ সরকার ক্ষমতা আরো পাকাপোক্ত করার জন্য প্রশাসনের লোকদের দিয়ে বিএনপি কর্মীদের গ্রেফতার করছে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পৌর নির্ব‍াচনের প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, প্রশাসনের লোকদের সামনেই অনেক ঘটনা ঘটছে, কিন্তু কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দেখে মনে হচ্ছে কমিশন সরকারের অনুগামী ভূমিকা পালন করছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এমকে আনোয়ারসহ দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।

ইটিভি চেয়ারম্যান সালাম ও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানেরও মুক্তি দাবি করেন রুহুল কবির রিজভী।

সরকারের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, দলের সিনিয়র নেতাদের দিনের পর দিন রিমান্ডে নিচ্ছেন, রাজনৈতিক ইতিহাসে এরকম সিনিয়র নেতাদের দিনের পর দিন রিম‍ান্ডে নেওয়ার ঘটনা এই সরকারের সময়েই ঘটেছে। হয়রানির মামলার নামে গ্রেফতার বাণিজ্য চলছে, মানব‍াধিকার পরিপন্থি কাজ চলছে। দেশের মানবাধিকার বলতে কিছু নেই।

‘গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার’ লড়াইয়ে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং নির্যাতনের শিকার হয়ে আহত হয়ে এখনও হাসপাতাল ও কারাগারে আটক আছেন তাদের সুস্থতা ও মুক্তি দাবি করেন রিজভী।

ব্রিফিংয়ের সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি ও আসাদুল করিম শাহিন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মহিলা  দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা প্রমুখ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সরকার বিরোধী হরতাল-অবরোধে নাশকতার মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর ৭ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান রিজভী।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫
এমএম/এমআইএইচ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।