ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খন্দকার মোশাররফের অর্থপাচার মামলায় বাদীর জবানবন্দি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
খন্দকার মোশাররফের অর্থপাচার মামলায় বাদীর জবানবন্দি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অর্থ পাচার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মামলার বাদী নাসিম আনোয়ার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) তিনি ঢাকার একনম্বর বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে এ জবানবন্দি প্রদান করেন।

এ জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে মোশাররফের অর্থ পাচার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো।

জবানবন্দি শেষে সাক্ষীকে আসামিপক্ষে জেরার আবেদন করা হলে এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান আগামী ১৩ জানুয়ারি সাক্ষীকে জেরা করার দিন ধার্য করেছেন।
গত ২৮ অক্টোবর অর্থ পাচারের অভিযোগে খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালত।

যুক্তরাজ্যে মোট ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা পাচারের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

এরপর ওই বছরের ১২ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় আহসান আলীর নেতৃত্বে দুদকের একটি দল খন্দকার মোশাররফকে গুলশান তার নিজ বাসা থেকে আটক করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক আছেন।

২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট দুদকের প্রধান পরিচালক নাসিম আনোয়ার ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

অভিযোগে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকার সময় (২০০১-০৬) ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের একটি প্রাইভেট ব্যাংকে তিনি নিজের ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের নামে যৌথ হিসাব খোলেন। উক্ত হিসাবে ৮ লাখ ৪ হাজার ১শ’ ৪২.১৩ ব্রিটিশ পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় ১১৮.৬৩ হারে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা) স্থায়ী আমানত হিসেবে জমা রাখেন।

তদন্তকালে তারা যুক্তরাজ্যে লেখাপড়া ও চাকরি করেছেন দাবি করলেও কোথায় অবস্থান ও চাকরি করেছেন তা প্রমাণ করতে পারেননি। তাছাড়া মোশাররফ হোসেন ১৯৬৯-৭৫ সময়কালে ওই হিসাবনামা খোলেন দাবি করলেও তদন্তে তারও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

‍বাংলাদেশি কোনো নাগরিক বিদেশি কোনো ব্যাংকে হিসাবনামা খুলতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রেও তিনি নিয়মের তোয়াক্কা করেননি বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
এমআই/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।