ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান সুরঞ্জিতের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
খালেদাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান সুরঞ্জিতের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত

ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিতে না পারে সেজন্য একটি আইন করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।



বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এসব কথা বলেন।
 
চলমান রাজনীতি বিষয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু একাডেমি।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, এতদিন পর খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে যে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন-তা বুঝে শুনে ও সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়েই দিয়েছেন। এটা পাকিস্তানের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি যখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, তখন শহীদদের সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে এলেন খালেদা জিয়া। তার এ বক্তব্যের পক্ষে কী যুক্তি প্রমাণ আছে তা তুলে ধরতে হবে। না হয় বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ার জন্য তাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য অত্যন্ত পূর্বপরিকল্পিত ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক। এ ধরনের বক্তব্যে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটবে।

সরকারকে বলবো-মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যাতে কেউ এ ধরনের বক্তব্য দিতে না পারে সেজন্য উচিত হবে এ ব্যাপারে একটি আইন প্রণয়ন করা- যোগ করেন পোড় খাওয়া এ রাজনীতিক।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আরও বলেন, খালেদা জিয়া কোন সংখ্যাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ হয়ে গেলেন যে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিলেন। আপনি (খালেদা) বলবেন রাজাকার কতজন ছিলো, একটু বাড়িয়েও বলতে পারেন।

খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য একেবারেই কল্পনাপ্রসূত নয়। তিনি চিন্তা করেই বলেছেন। তিনি এ ধরনের বক্তব্য দেবেন এটাই স্বাভাবিক, এটাই তো খালেদা জিয়া- মন্তব্য করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
 
আলোচনার শুরুতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আজ আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধু পরবর্তী এবং বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়ে ওঠা নেতাদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন সবচেয়ে ত্যাগী, আদর্শবাদী ও নীতিবান নেতা। মানুষের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক ছিলো। দেশে ফেরার পর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং আব্দুর রাজ্জাক যদি সাধারণ সম্পাদক থাকতেন তাহলে আরও ৫ বছর আগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারতো। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া কর্মীদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাকের স্মৃতি চির অম্লান থাকবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ডা. ইমদাদুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫/আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।