ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জাতীয় ঐক্যের জন্য বায়াত্তরের সংবিধান মানতে হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
জাতীয় ঐক্যের জন্য বায়াত্তরের সংবিধান মানতে হবে ছবি: রানা/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির জাতীয় ঐক্য করতে চাইলে বায়াত্তরের সংবিধান ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে মেনে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।

এ সময় তিনি মিরপুরের ঘটনা ও রাজশাহী বাগমারায় আহমেদিয়া মসজিদে বোমা হামলার ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেন।



শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ২টারে দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলা, পৌরসভা নির্বাচন ও বিএনপির রাজনীতি’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সুরঞ্জিত বলেন, খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন। এটি করতে হলে আগে বায়াত্তরের সংবিধানকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মানতে হবে, জাতির জনককে মানতে হবে। স্বাধীনতার চেতনাকে মেনে আসতে হবে।

বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের তুলনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, অগণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির কোনো ঐক্য হয় না।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা বায়াত্তরের সংবিধানের এক বিন্দু ছাড়ের সঙ্গে আপোস করবো না। যা যা লেখা আছে তা মেনে আসতে হবে। তা না হলে আপনি গণতান্ত্রিক শক্তি না। জঙ্গিবাদের সঙ্গে অগণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে পৃথিবীর কোথাও গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য হয় না।

খালেদা জিয়াকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হয় নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনীতি করেন, না হয় বোমার রাজনীতি করেন। এক সঙ্গে দুইটা হতে পারে না। আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে-হয় গণতান্ত্রিক হন, না হয় জঙ্গিবাদী হন।
 
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিহাস বিকৃতিকারীদের বিরুদ্ধে কোনো কথা চলে না। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ, এটা ঐতিহাসিক সত্য। এটা নিয়ে কথা বলা মানে মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

আলোচনা সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও প্রবীণ আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত বলেন, ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনেই পাকিস্তানের ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে বিচারের ব্যবস্থা আছে। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য সংগঠনের বিচারের ব্যবস্থাও এই আইনে আছে। শুধু সরকারের সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক আকতারুজ্জামান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানাসহ অন্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫/ আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা
এসকে/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।