ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরলেই স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরলেই স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে: দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর কাছে সোহরাওয়ার্দী ময়দানে পাক হানাদাররা আত্মসমর্পণ করে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেন অপূর্ণ ছিল।

বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরলেই সেই স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়।
 
সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ জনসভার  আয়োজন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সে নির্দেশেই সাধারণ মানুষ যুদ্ধে যোগ দেয়। ২৫শে মার্চ রাতে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে পাক হানাদাররা। এরপর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের আগে ওয়ার্লেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পরে তৎকালীন ইপিআর সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়।  

‘এদিকে ইয়াহিয়া খান তার (বঙ্গবন্ধু) বিচার করে ফাঁসির আদেশ দিয়ে দেয়। কিন্তু বৈশ্বিক চাপে তা পারেনি। ৯ মাস দেশের মানুষ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। ’

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একটি দেশ গড়তে চেয়েছিলেন, যে দেশ হবে সোনার বাংলা, স্বয়ং সম্পূর্ণ। একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়তে শুরু করেন তিনি। পৃথিবীর এক মাত্র দেশ বাংলাদেশ, যে দেশে মিত্র শক্তি যুদ্ধের পরপরই নিজ দেশে ফিরে যায়। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এমন দৃষ্টান্ত নেই। কিন্তু বাংলাদেশে তা সম্ভব হয়েছিল কেবল বঙ্গবন্ধুর দুরদর্শিতার জন্য।

‘যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজ এবং অর্থনৈতিক মুক্তি যখন বঙ্গবন্ধু শুরু করে দিয়েছেন তখন জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো। মাত্র ১৫ দিন আগে আমরা দুই বোন জার্মানিতে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যাই। এরপর দেশে ১৯টি ক্যু হয়েছে। স্বাধীনতার পর দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুভার্গা বাঙালি জাতি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়। ’

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের দেশে আনেন এবং নাগরিকত্ব দেন, পরে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া তাদের মন্ত্রী বানান।

‘বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো কথা বলতে হয় তবে বলতে হবে- জিয়াউর রহমানের কথা। তিনি একাধারে সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি হয়ে যান। তিনি জোর করে ক্ষমতা দখল করে নেন। তখন সম্পূর্ণ ইতিহাস বিকৃতি করে তুলে ধরা হয়। তবে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, যে জিয়াকে আর কখনও রাষ্ট্রপতি বলার সুযোগ নেই। ’

‘অবৈধভাবে ক্ষমতায় গিয়ে তারা যে দল গঠন করেছে তাও অবৈধ। ’

এর আগে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫
এসকে/এমইউএম/আইএ/এমএ

** ‘খালেদা লাইন বদলাইছেন’
** ১০ জানুয়ারি বাঙালির ঐতিহাসিক দিন
** হাসিনাকে আরও কয়েক টার্ম প্রধানমন্ত্রী হওয়া দরকার
** আওয়ামী লীগের জনসভা শুরু, সভামঞ্চে প্রধানমন্ত্রী
** সাভার ছেড়েছে সহস্রাধিক বাস-মিনিবাস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।