ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পঞ্চম দফার ইউপি নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও সদর উপজেলার ৮ কেন্দ্রে সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এদিকে ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বিএনপি মনোনীত চারজনসহ ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।
শনিবার (২৮ মে) সকালে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সিতানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আঙুর হাজারীর সমর্থকরা প্রাকাশ্যে সিল মারেছে বলে অভিযোগ প্রতিপক্ষের। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর রহমান লিটনের সমর্থকরা বাঁধা দিলে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিলকেন্দুয়াই গ্রামে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়।
এছাড়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে, সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে, তালশহর (পূর্ব) ইউনিয়নের অষ্টগ্রামে, কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের শিকারপুর, বাদৈর ও বিনাউটি ইউনিয়নের ধামসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেম্বর প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে সংঘর্ষের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর গুলিতে রাসেল মিয়া নামে একজন মেম্বর প্রার্থী আহত হয়। এসব সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হয়।
সংঘর্ষে আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৬ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগে সদর উপজেলার নাটাই (উত্তর) ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম, তালশহর (পূর্ব) ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম, রামরাইল ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান সেলিম ও কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী একেএম ফরহাদ, বায়েক ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাজমুল হাসান নির্বাচন বর্জন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৬
এসএইচ